মানবজীবনে জনসেবার গুরুত্ব (এই নিয়ে ছাত্র ও শিক্ষকের সংলাপ) |
মনোরম: স্যার, আপনাকে একটা কথা বলার ছিল।
শিক্ষক: বলো। এতো কুণ্ঠাবোধ করছ কেন?
মনোরম: আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে রোববার হিঙ্গলগঞ্জের কাছাকাছি বানভাসি একটা গ্রামে সামান্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের পরিচিত অনেকের কাছেই তাদের সাধ্যমতো সাহায্য করার অনুরোধ জানাচ্ছি। তাই আপনাকেও অনুরোধ করছি।
শিক্ষক: হঠাৎ তোমরা এমন কাজে মেতে উঠলে কেন?
মনোরম : আসলে সেদিন টিভি-তে বন্যাপীড়িত মানুষগুলোর দুরবস্থা দেখে আমাদের নিজেদের মধ্যে অনেকক্ষণ কথাবার্তা হল। একের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে যদি অন্যেরা ছুটে না যায়, তাহলে মানুষের বেঁচে থাকাই তো মুশকিল।
শিক্ষক: বাহ। মানে দুর্গত মানুষগুলোর ভরসার জায়গাটা ফিরিয়ে আনতে আর সহমর্মিতা জানাতেই তোমরা ছুটে যাচ্ছ, তাই তো?
মনোরম: হ্যাঁ স্যার। সেই সঙ্গে মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনে লাগে এমন কিছু জিনিস যতটা সম্ভব জোগাড় করে নিয়ে যাওয়া।
শিক্ষক : তার অভাব হবে না। মনুষ্যত্ববোধের এই প্রেরণাটাই হল আসল কথা। আর্ত, পীড়িত ও দুর্গতের সেবাই হল সর্বোচ্চ ধর্ম বুঝলে মনোরম। এখানে কেউ দাতা বা গ্রহীতার আসন পায় না, তাই এর নাম মানবধর্ম।
মনোরম: স্যার, এই কাজে আপনি যদি আমাদের সাহায্য করতেন। শিক্ষক: সাহায্য নয় মনোরম। আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। আজ বিকেলেই তোমরা আমার বাড়িতে চলে এসো, সামনাসামনি বসে সব কথা। বলা যাবে। ঠিক আছে?
মনোরম: নিশ্চয়ই স্যার। এখন তাহলে গিয়ে সকলকে খবরটা দিই।
শিক্ষক: এসো।