মাধ্যমিকের পর কী নিয়ে পড়ব এবং কেন? (এই নিয়ে মা ও সন্তানের মধ্যে সংলাপ) |
মা : পরীক্ষার পরে সারাক্ষণ খেলা, আর নয়তো গল্পের বইয়ে মুখ গুঁজে বসে থাকা, উচ্চমাধ্যমিকে কী নিয়ে পড়বি কিছু ভেবেছিস?
সিদ্ধার্থ: তোমরা কিছু ভেবেছ, আগে সেটা বলো তো।
মা : আমরা কেন ভাবব, এটা তোর সিদ্ধান্ত।
সিদ্ধার্থ : না বাবার সঙ্গেঙ্গ তোমার কিছু আলোচনা হয়নি?
মা : অমন কথা তো অনেক হচ্ছে, তবে এবার তো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বাবা বলছিলেন সায়েন্স বা আর্টস যে-কোনো শাখায় তুই পড়তে পারিস। উনি কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চান না।
সিদ্ধার্থ: আর তুমি?
মা : আমার তোর সেই ছোট্টবেলার কথাগুলো খালি মনে পড়ে। একটা বয়সে বাবুই দড়ি দিয়ে স্টেথো বানিয়ে রোজ ডান্তার হতিস। পরে আর একটু বড়ো হয়ে পুরীতে বেড়াতে দিয়ে উদয়গিরি পাহাড়ে খারবেলা লিপি দেখে তোর মাথায় ঢুকল পুরাতত্ত্ববিদ হব। কত কী যে হলি।
সিদ্ধার্থ: ওসব ছিল কল্পনা। এখন কী ভাবছ বলো।
মা : যা পড়ে আনন্দ পাস, সেই বিষয় নিয়েই পড়বি। দরদ আর ভালোলাগা না থাকলে লেখাপড়া করে কী লাভ?
সিদ্ধার্থ: আমি উচ্চমাধ্যমিকের পর ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়তে চাই। তাই এখন আর্টস নেব ভেবেছি।
মা : ছোটোবেলা থেকেই তুই কল্পনাপ্রবণ আর ভাবুক। তোকে সাহিত্য তো আকর্ষণ করবেই।
সিদ্ধার্থ: তাহলে বাবাকে বলো।
মা : আমরা এমনটাই ভেবেছিলাম, তোকে বলিনি। কারণ এই সিদ্ধান্তটা তোর ভেতর থেকে উঠে আসুক, এটাই চেয়েছিলাম। আর বাবাকে নিজেই জানাস।
সিদ্ধার্থ: ঠিক আছে। এখনই যাচ্ছি।