পথ নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)

পথ নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)
পথ নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)
তথাগত : আজকাল রাস্তা-ঘাটে দুর্ঘটনা কত বেড়ে গেছে দেখেছিস।
পারিজাত : রোজ কাগজ খুললেই কোনো না কোনো ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর থাকবেই।
তথাগত: আসলে লোকজন, যানবাহন যে পরিমাণে বেড়েছে, ঠিক সেই হারে সড়ক ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেনি। ফলে ভারসাম্যের একটা অভাব ঘটছে।
পারিজাত : তোর কথাটা কিছুটা ঠিক। তবে আগের তুলনায় প্রায় সব রাস্তাই এখন অনেক চওড়া হয়েছে। আর পাকা রাস্তার সংখ্যাই এখন বেশি, তাই ভারসাম্যের অভাবেই দুর্ঘটনা ঘটেছে এমনটা আমার মনে হয় না।
তথাগত: বুঝেছি, তুই মানুষের অসচেতনতার কথা বলছিস। 
পারিজাত : শুধু অসচেতনতা নয়, সেই সঙ্গে আইন ভাঙার প্রবণতা, অজ্ঞতা, ট্রাফিক পুলিশের অভাব, প্রশাসনিক শৈথিল্য- এইসব মিলেমিশে প্রতিটি রাস্তাই হয়ে উঠেছে দুর্ঘটনাপ্রবণ।
তথাগত : খুব সত্যি কথা বলেছিস। ছোটো ছোটো কয়েকটি বিষয়, যেমন- ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে গাড়ি চালানো, হাঁটার সময় ফুটপাত ব্যবহার করা কিংবা জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপার প্রভৃতি ব্যাপারগুলোকে আমরা যদি মেনে চলি, তাহলেই পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই কমে। 
পারিজাত: আসলে এই ছোটো ছোটো বিষয়গুলিকেই আমরা রাস্তায় বেরিয়ে সবচেয়ে অবহেলা করি।
তথাগত: সেজন্যই তো বিপত্তিটা ঘটে। তবে বছরে দু-একবার পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করলেই কিন্তু ছবিটা পালটাবে না।
পারিজাত : একদম গোড়া থেকে শুরু করতে হবে। নীচু ক্লাসের নানান পাঠ্য বইয়ে পথ নিরাপত্তার গুরুত্ব, কারণ ও বিভিন্ন নির্দেশিকার ব্যবহার শেখাতে হবে। সারাবছর বিভিন্ন স্কুলগুলিকে এলাকার পথ নিরাপত্তার সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত করতে হবে।
তথাগত: পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনুশাসনগুলির সঙ্গে অভান্ত হতে হলে, আসলে একটি সর্বজনীন শৃঙ্খলাবোধ গড়ে তুলতে হয়। যা অল্পবয়স থেকে আরম্ভ করলেই স্বাভাবিক এবং স্বতঃস্ফূর্ত হয়।
পারিজাত : ঠিক ধরেছিস। আমি সেই অভ্যাসটা তৈরি করার কথাই বলতে চাইছি।

Leave a Comment