নারী-স্বাধীনতা বা আজকের মেয়েরা কতটা স্বাধীন (এই নিয়ে দুই ছাত্রীর মধ্যে সংলাপ)। |
রেজিনা: তুই বড়ো হয়ে কী হতে চাস সালমা?
সালমা : কী হতে চাই। স্বাবলম্বী আর স্বনির্ভর হতে চাই।
রেজিনা: আমিও সেই স্বপ্নটাই দেখি রে। ডান্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রযুক্তিবিদ, ম্যানেজার কিংবা শিক্ষিকা- সেটা তো ব্যক্তিগত বিষয় নির্বাচন কিংবা পছন্দ-অপছন্দের ওপর নির্ভর করবে।
সালমা: কিন্তু, যাই করি নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, তাই না?
রেজিনা : একদম তাই। এখন মেয়েরা প্রমাণ করে দিয়েছে, যে-কোনো পেশায় তারা পুরুষদের মতোই স্বচ্ছন্দ ও সফল হতে পারে।
সালমা : অবশ্যই। আর এই পরিস্থিতিটা মেয়েরা নিজেদের যোগ্যতায় অর্জন করেছে।
রেজিনা: শুধু তাই নয়। ঘরে ও বাইরে অর্থাৎ সাংসারিক দায়দায়িত্ব পালন করেও কর্মক্ষেত্রে মেয়েরা আশ্চর্য রকমের পারদর্শী।
সালমা : ভারতের তিনটে সবচেয়ে বড়ো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সর্বভারতীয় কর্ণধার হলেন এখন তিনজন মহিলা, ভাবলেই কেমন গর্ববোধ হয়।
রেজিনা: এভাবেই তো পরিস্থিতিটা বদলাচ্ছে। শিক্ষায়-সাহিত্যে-বিজ্ঞানে-চিকিৎসায় নানান পেশায়, কোথায় মেয়েরা শিখর স্পর্শ করেনি বলতো।
সালমা : আমরাও তাদেরই প্রতিনিধি। তাই একবিংশ শতক যেন সমস্ত নারীর স্বাধীনতার শতক হয়ে উঠতে পারে, আমাদের সেই স্বপ্ন সফল করতে হবে।
রেজিনা: সেই পথে প্রাথমিক পদক্ষেপটাই হল শিক্ষা, স্বনির্ভরতা এবং আর্থিক স্বাবলম্বন, কী বল?
সালমা: আমি তোর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।