শান্তিনিকেতনে বেড়াতে যাওয়া (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)

শান্তিনিকেতন বেড়াতে যাওয়া (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)
শান্তিনিকেতন বেড়াতে যাওয়া (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)
অমিত : কীরে এবার তোদের স্কুল থেকে কোথায় বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছে।
রাজু : শান্তিনিকেতন। জানো, মনে মনে ভাবলে এত আনন্দ হচ্ছে যে তোমাকে আর কী বলব। কতদিনের ইচ্ছা শান্তিনিকেতন দেখার।
অমিত : বুঝতে পারছি সব বুঝতে পারছি, আমিও যেবার প্রথম শান্তিনিকেতন যাই আমারও তোর মতোই আনন্দ হয়েছিল। রাজু: এখন হয় না?
অমিত: হয়তো, কিন্তু প্রথম শাস্তিনিকেতন দেখার আনন্দটাই আলাদা, দুচোখ ভরে শুধু দেখে যাবি। চারিদিকে কেবলই সবুজের খেলা। 
রাজু: তাই, তুমি তখন কোথায় উঠেছিলে।
অমিত: শান্তিনিকেতনের অতিথিশালায়।
রাজু: এতদিন শাস্তিনিকেতন সম্পর্কে কাগজে পড়েছি, টিভি-তে দেখেছি, বই-এ পড়েছি, এবার চাক্ষুষ দেখব। ভাবলেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছি।
অমিত : উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা, আশুকুঞ্জ, উত্তরায়ণ দেখলে মন ভরে যায়। আর দোলের সময় শান্তিনিকেতন দেখার যে সুখ তা আর অন্য কোথাও গেলে মেলা ভার। অন্যরূপে সেদিন শান্তিনিকেতন সেজে ওঠে।
রাজু: আচ্ছা ছাতিমতলাতেই তো লেখা আছে না, ‘তিনি আমার প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ, আত্মার শান্তি’?
অমিত: হ্যাঁরে, শান্তিনিকেতন ঘুরে বেড়ালেই সেই শান্তির খোঁজ তুই পেয়ে যাবি।
রাজু: আচ্ছা আমাদের স্কুল থেকে মাত্র দু-রাত থাকবে, তাতে সব ঘোরা হবে? তোমার কাছে শুনে তো মনে হচ্ছে হবে না, তাহলে।
অমিত: শান্তিনিকেতন একবার যাবার নয়, বার বার যাবার জায়গা, যেদিক দিয়েই হাঁটবি না কেন তোর মনে হবে হয়তো এদিক দিয়েই রবীন্দ্রনাথ হেঁটে গিয়েছিলেন। আবার যখন তুই উত্তরায়ণ যাবি তখন তোর মনে হবে, এইতো বই-য়ে পড়েছি এখানে বসেই তো রবীন্দ্রনাথ কত গান, কত কবিতা লিখেছেন, সবথেকে বড়ো কথা কি জানিস, ছাতিমতলায় দাঁড়িয়ে যখন আম্রকুঞ্জের দিকে তাকিয়ে থাকি তখন রবীন্দ্রনাথের সেই পেছনে হাতদিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার ছবিটি চোখের সামনে ভেসে ওঠে।

Leave a Comment