বৃক্ষরোপণ (এই নিয়ে বাবা আর ছেলের মধ্যে সংলাপ) |
অমিতেষ : বাবা এবার কিন্তু স্কুলের ছুটি পড়লেই আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। আমার আর এখানে থাকতে ভালো লাগছে না। স্কুলের ছুটির দিনগুলিতে আমার দমবন্ধ হয়ে আসে।
বাবা : আচ্ছা, ঠিক আছে।
অমিতেষ : শুধু ঠিক আছে বললে হবে না, ভালোভাবে শোনো।
বাবা : কী বলছিস এবার বল।
অমিতেষ: জানালার দিকে তাকালে খোলা আকাশ দেখা যায় না, আকাশ দেখতে হলে এখানে ওই পাঁচতলার ছাদে যেতে হয়। গাছ দেখা যায় না। ফ্ল্যাট আর ফ্ল্যাট। আমার আর ভালোলাগছে না। কান্না পায়।
বাবা : ঠিক বলেছিস। আমিও এটা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই ভাবছি।
অমিতেষ : আচ্ছা এক কাজ করলে হয় না, আমাদের ফ্ল্যাটের চারিধারে যে জায়গাটুকু ফাঁকা আছে সেখানে যদি আমরা নানান ধরনের গাছ লাগাই তাহলে কেমন হবে?
বাবা : এটা তুই ভালো প্রস্তাব দিয়েছিস। তাহলে এক কাজ করা যাক, সামনেই ২২ শ্রাবণ, আমরা সেদিন থেকেই শুরু করব। তবে তার অগে ফ্ল্যাটের বাকি লোকেদের একবার অনুমতি নিয়ে নেব।
অমিতেষ : আমার মনে হয় কেউ কিছু বলবে না, আর সবাই যদি যোগদান করে তাহলে তো ব্যাপারটা আরও ভালো হবে। আমরা যখন গাছ লাগানো শুরু করব তখন মাকে বলব ওই গানটা গাইতে।
বাবা : কোন গানটা? ও হো বুঝতে পেরেছি রবি ঠাকুরের লেখা ‘মবুবিজয়ের কেতন উড়াও শূন্যে’- এই গানটা?
অমিতেষ : হাঁ বাবা একদম ঠিক। তাহলে থাক বাবা গ্রামের বাড়ি যাবার পরিকল্পনাটা বরং পরেই করা যাবে।