বিশ্ব উষ্ণায়ন (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)
বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রতিরোধ (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ) |
আকাশ: জানিস সোহেল ক্রমশ পৃথিবীর উন্নতা বাড়ছে। গত শতাব্দীতে গড়ে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছিল ০.৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এ শতাব্দীতে সেটা আরও ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৬.৬৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ার সম্ভাবনা।
সোহেল: তাপমাত্রা বাড়া মানে জীব-বৈচিত্র্য কমবে, বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণ লুপ্ত বা প্রায় বিলুপ্ত হতে থাকবে, হিমবাহ কিংবা মেরু অঞ্চলের বরফ গলবে, সর্বনাশা গ্রিনহাউস গ্যাস বাড়বে-এ কোন বিপজ্জনক পথে চলেছি আমরা।
আকাশ: সেটাই তো। শিল্পায়ন-নগরায়ণ-নির্বিচারে সবুজের ধ্বংস ও দুষণবৃদ্ধিকারী প্রযুক্তির যথেচ্ছ ব্যবহারে বাতাসের তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে, আর পৃথিবীর সমস্ত দেশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে।
সোহেল: এর একমাত্র পরিত্রাণ হল এতকাল যা যা আমরা করে এসেছি, ঠিক তার বিপরীতে হাঁটা।
আকাশ: ভালো বলেছিস। এতকাল গাছ কেটেছি, এখন গাছ লাগাতে হবে। প্রতিটি হাউজিং কমপ্লেক্স, ফ্ল্যাট কিংবা বাড়িতে গাছ লাগানো বাধ্যতামূলক করতে হবে। নয়তো সরকারকে অনুমোদন আটকে দিতে হবে।
সোহেল: নতুন করে সবুজ কিংবা জলাভূমি ধ্বংস করা যাবে না। কলকারখানাগুলিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। গাড়ি এবং সমস্ত রকমের যানবাহন, গেরস্থালির উপকরণ যেগুলি থেকে বিষাক্ত গ্যাস বেরোয়, সে-সবের ক্ষেত্রে বিকল্প শক্তির খোঁজ করতে হবে।
আকাশ: প্রয়োজনে বহুজাতিক সংস্থাগুলিকে বিকল্প শক্তি ব্যবহারে উৎসাহ দিতে হবে এবং চাই সুস্পষ্ট লক্ষ্যমাত্রা।
সোহেল: সংযম আর দূষণ বিরোধী স্পষ্ট নীতিই পারে এখন পৃথিবীকে বাঁচাতে।
আকাশ: নাহলে বিশ্ব উন্নায়নের হাত থেকে মানুষের রেহাই নেই।