গ্রামাঞ্চলে নারীশিক্ষার সমস্যা (এই নিয়ে দুই বান্ধবীর মধ্যে সংলাপ)

গ্রামাঞ্চলে নারীশিক্ষার সমস্যা (এই নিয়ে দুই বান্ধবীর মধ্যে সংলাপ)
গ্রামাঞ্চলে নারীশিক্ষার সমস্যা (এই নিয়ে দুই বান্ধবীর মধ্যে সংলাপ)
মৌসুমী: তুমি হস্টেলে থাকো তো পল্লবী।
পল্লবী: হ্যাঁ, প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি আমার। যাতায়াতের খুব অসুবিধা। তাই হস্টেলেই থাকি।
মৌসুমী: তোমাদের ওখানে স্কুল নেই।
পল্লবী : আমাদের বাড়ি থেকে হাইস্কুলের দূরত্ব প্রায় সাত-আট কিলোমিটার। কিন্তু সেখানে আবার উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সায়েন্স নেই। যদিও আমি মাধ্যমিক অবধি ওই স্কুলেই পড়েছি।
মৌসুমী: অত দূর যাতায়াত করতে। তাহলে তো খুব কষ্ট।
পল্লবী: হ্যাঁ, পরিশ্রম করতেই হয়। সাইকেলে বারোমাস যাতায়াত করা আবার ভালো মাস্টারমশাই পাওয়াও খুব মুশকিল।
মৌসুমী: মানে সেক্ষেত্রে আবার দূরে আশেপাশের গ্রামে যেতে হত না। পল্লবী: অবশ্যই। গ্রামে মেয়েদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে এখনও অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। স্কুলের দূরত্ব, পরিকাঠামোর সমস্যা, শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাব, বইপত্রের অপ্রতুলতা।
মৌসুমী : তাহলে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা তো আরও গভীর।
পল্লবী: ঠিক বলেছ। তবে হ্যাঁ পরিস্থিতিটা কিন্তু ধীরে হলেও বদলাচ্ছে। অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, এসএসকে, এম এসকে হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে। এখন এমনকী আমাদের ব্লকে একটা সরকারি কলেজ আর বিএড কলেজ হয়েছে।
মৌসুমী: তার মানে ভবিষ্যতে ছবিটা ক্রমশ বদলে যাবে।
পল্লবী : হ্যাঁ, তখন হয়তো আর কাউকেই আমার মতো হস্টেলে থেকে সায়েন্স পড়তে হবে না।

Leave a Comment