প্রতিবেশী দুই দেশের বিবাাদ দুই দেশের ক্ষতি (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ) |
অর্ক: ভারত-পাকিস্তানের এই সীমান্তবর্তী উত্তেজনা-গুলি বিনিময়-সীমানা লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলিকে আজকাল কেমন ছেলেমানুষি বলে মনে হয় না সায়ন।
সায়ন: অবশ্যই; আর ছেলেমানুষির সঙ্গে আছে হঠকারিতা। যদিও এ বিষয়ে দুদেশের রাষ্ট্রনায়কদেরই অবদান আছে।
অর্ক: আমরা সাধারণ মানুষেরা কিন্তু সহজেই বুঝি ঝগড়া-কলহ কিংবা দীর্ঘস্থায়ী বিবাদ কখনই কোনো দেশেরই মঙ্গাল করে না।
সায়ন: তুই বল না, কোনো মানুষ তার পাশের বাড়ির মানুষের সঙ্গে ঝগড়া করে কি ভালো থাকতে পারে। বরং তাতে উভয়ের ক্ষতি হয়। তারা মনেপ্রাণে চেষ্টা করে যে-কোনো রকমের ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিতে-
অর্ক: ঠিক তাই; আর দেশের ক্ষেত্রে এ কথা আরও গভীরভাবে প্রযোজ্য। কারণ এক্ষেত্রে বহু মানুষের ভালো-মন্দ জড়িয়ে থাকে। সুতরাং ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্তান-নেপাল-ভুটান কিংবা শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্ভাব বজায় থাকা উচিত।
মায়ন: এসব দেশগুলির সাধারণ মানুষের মধ্যে কিন্তু কোনো পারস্পরিক ঘৃণা কিংবা বিদ্বেষ নেই। সমস্যাগুলি রাজনৈতিক এবং কুটনৈতিক স্তরে।
অর্ক: সেগুলি সবই দীর্ঘস্থায়ী আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া যায়। উভয়কেই বুঝতে হবে বিবাদে ক্ষতি, বোঝাপড়ায় লাভ।
সায়ন: এই আন্তরিকতা আর সদিচ্ছা দেখালে ভারত আর তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি সত্যিই আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।