গ্রামাঞ্চলে নারীশিক্ষার সমস্যা সম্পর্কে দুজন বান্ধবীর কাল্পনিক সংলাপ

গ্রামাঞ্চলে নারীশিক্ষার সমস্যা সম্পর্কে দুজন বান্ধবীর কাল্পনিক সংলাপ
গ্রামাঞ্চলে নারীশিক্ষার সমস্যা সম্পর্কে দুজন বান্ধবীর কাল্পনিক সংলাপ
লতিকা : শ্রাবন্তী তোর কী চিন্তা, তুই শহরের মেয়ে। গ্রামের মেয়ে হিসেবে ভাবনা তো আমার, উচ্চমাধ্যমিকের পর কোথায় কীভাবে পড়াশোনা করব জানি না!
শ্রাবন্তী: কেন, তুই শহরে এসে পড়াশোনা করবি।
লতিকা: আমাদের গ্রাম থেকে শহরে আসার যানবাহনের ভালো ব্যবস্থা নেই। সেই সঙ্গে অর্থের জোগান, নিরাপত্তা এসব সমস্যার কীভাবে সমাধান হবে বলত?
শ্রাবন্তী: স্বাধীনতার এত বছর পরেও নারীশিক্ষার প্রসারে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। উচ্চশিক্ষালাভের ক্ষেত্রে গ্রামের মেয়েরা সামগ্রিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে।
লতিকা : গ্রামগুলো এখনও অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের চিন্তায় অস্থির, শিক্ষা, চিকিৎসা তো পরের কথা।
শ্রাবন্তী: কিন্তু তাই বলে তো পিছিয়ে থাকলে চলবে না, এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
লতিকা: তা কীভাবে সম্ভব? গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ মেয়ে পড়াশোনা না শিখে নানান কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছে।
শ্রাবন্তী: সরকারি উদ্যোগ আরও বাড়ানো দরকার।
লতিকা: শুধু সরকারি উদ্যোগ বাড়ালেই চলবে না, তার সুফল একেবারে প্রান্তীয় ক্ষেত্রে পৌঁছোনো দরকার।
শ্রাবন্তী : তোর কথা একশো শতাংশ সত্যি। শহরে কত ধরনের মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, সেই সঙ্গে বিজ্ঞান প্রযুক্তির ব্যবহার, হস্টেল-বোর্ডিং -রাস্তাঘাট-আলো নানান ক্ষেত্রের উন্নতির ফলে মেয়েরা তার সুযোগ পাচ্ছে। লতিকা, তোর যন্ত্রণা আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছি। এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে।
লতিকা: হ্যাঁ, সেজন্য দরকার গ্রামের রাস্তাঘাটের উন্নতি, প্রয়োজন দারিদ্র্যদূরীকরণ। কুসংস্কার ও পিছিয়ে পড়া মানসিকতার শিকড় তুলে ফেলে গ্রামাঞ্চলে স্কুল-কলেজ-কারিগরি বিদ্যালয়সহ আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার প্রয়োজন। তাহলেই গ্রামের মেয়েরাও আপন ভাগ্য জয় করার অধিকার পাবে।
শ্রাবন্তী: তোর সঙ্গে আমিও সম্পূর্ণ একমত।

Leave a Comment