টীকা লেখো-এমস টেলিগ্রাম

টীকা লেখো-এমস টেলিগ্রাম – আজকের পর্বে টীকা লেখো-এমস টেলিগ্রাম সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

    টীকা লেখো-এমস টেলিগ্রাম

    টীকা লেখো-এমস টেলিগ্রাম
    টীকা লেখো-এমস টেলিগ্রাম

    পটভূমি

    জার্মানির ঐক্যের অন্যতম প্রধান বাধা ছিল ফ্রান্স। বিসমার্ক প্রান্সকে সমস্যায় ফেলার উপায় হিসেবে স্পেনের সিংহাসন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্পেনের পার্লামেন্টের সদস্যদের প্ররোচিত করতে থাকেন। ঐতিহাসিক আইখের মতে, ফ্রান্সের সঙ্গে যুদ্ধ ঘটাবার ইচ্ছায় বিসমার্ক স্পেনের সমস্যা সৃষ্টি করেন। 

    স্পেনের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনায় ফরাসি রাষ্ট্রদূত বেনিদিতি জার্মানির রাজা প্রথম উইলিয়ামের সঙ্গে এমস নামক স্থানে সাক্ষাৎ করেন। প্রথম উইলিয়াম এমস বায়ু পরিবর্তনের জন্য কিছুদিন ছিলেন। প্রথম উইলিয়াম অত্যন্ত বিনম্র ও ভদ্রভাবে বেনিদিতির সঙ্গে আলোচনা করেন এবং স্পেনের সিংহাসন সংক্রান্ত ব্যাপারে আর মতামত ব্যক্ত করেন। প্রথম উইলিয়াম এমসের এই আলোচনার কথা ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৩ জুলাই টেলিগ্রাফ মারফত বিসমার্ককে জানান যা ইতিহাসে এমস টেলিগ্রাম নামে পরিচিত।

    এমস টেলিগ্রামের পরিবর্তন

    ধুরন্ধর রাজনীতিবিদ বিসমার্ক ফ্রান্সের সঙ্গে যুদ্ধ কাঠামোর ছুতো খুঁজছিলেন তাই পরের দিন এমস টেলিগ্রামের কিছু অংশ এমনভাবে বাদ দিয়ে সংবাদ পত্রে প্রকাশ করেন যা দেখে ফরাসিদের (ফ্রান্সবাসী) ধারণা জন্মায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বেনিদিতি প্রাশিয়ার রাজার দ্বারা অপমানিত ও অপদস্থ হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে ফ্রান্সে জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার দাবি তীব্র হয়ে ওঠে। নেপোলিয়ন ফরাসি রাষ্ট্রদূত বেনিদিতির নিকট এই খবরের সত্যতা যাচাই না করে জনমতের চাপে ১৮৭০ খ্রি: ১৫ জুলাই জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

    ফ্রাঙ্কো প্রাশিয়ার যুদ্ধ

    বিসমার্কের প্রত্যাশা পূরণ হল। ফরাসি সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়ন প্রাশিয়ার কাছে চূড়ান্তভাবে পরাজিত হলে (১ সেপ্টেম্বর ১৮৭০ খ্রি.) জার্মানির ঐক্য সম্পন্ন হল। এবং তৃতীয় নেপোলিয়ন এই যুদ্ধে বন্দি হন। বিসমার্ক ব্যঙ্গ করে বলেন-Bismarck Showed the ned rag to Galie (France) bulb. অর্থাৎ গলদেশে (ফ্রান্সের) ষাড়কে লাল কাপড় দেখিয়ে খেপিয়ে দেওয়া হল।

    Leave a Comment