বৌদ্ধবাণী বা ধর্মবাণী কী

বৌদ্ধবাণী বা ধর্মবাণী কী বৌদ্ধবাণী বা ধর্মবাণী কী
বৌদ্ধবাণী বা ধর্মবাণী কী

বৌদ্ধবাণী বা ধর্মবাণী

‘বোধি’ বা সত্যজ্ঞানের সন্ধান লাভ করেও কিন্তু বুদ্ধদেব তৃপ্ত হলেন না। কারণ, শুধু নিজের দুঃখ কষ্টের নিরোধ তাঁর কাম্য নয়। তাঁর কামনা হল বিশ্বের সমস্ত লোকের দুঃখমোচন। এই প্রয়াসে তিনি তাঁর তপস্যালব্ধ সত্যজ্ঞান বিতরণ করার জন্য দেশ-বিদেশে বিভিন্ন বাণী প্রচার করলেন। এই বাণী হল ধর্মবাণী বা বৌদ্ধবাণী। এই বৌদ্ধবাণীর ওপর নির্ভর করেই গড়ে উঠেছে বৌদ্ধদর্শন। বুদ্ধদেব মুখে মুখে তাঁর শিষ্যদের মধ্যে এই বাণী প্রচার করতেন। এরজন্য কোনো লিখিত গ্রন্থ না থাকায়, বুদ্ধদেবের শিষ্যরা পরম্পরাগতভাবে এগুলিকে মৌখিকভাবে প্রচার করতেন। কিন্তু বিভিন্ন শিষ্য ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখার মাধ্যমে এগুলিকে প্রচার করার ফলে, বৌদ্ধদর্শনের মধ্যে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হয়। এই কারণেই পরবর্তী পর্যায়ে, বুদ্ধদেবের মৃত্যুর পর তার কয়েকজন মূল শিষ্য তাঁর উপদেশগুলিকে পালি ভাষায় লিপিবদ্ধ করেন। এগুলিকে বলা হয় পিটক-যার অর্থ হল নৈতিক উপদেশাবলির ঝাঁপ বা পেটিকা। সংখ্যায় এরূপ পিটক হল তিনটি। সে কারণেই এগুলিকে একসঙ্গে বলা হয় ‘ত্রিপিটক’।

Leave a Comment