বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে যা জানো লেখো – আজকের পর্বে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল।
বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে যা জানো লেখো
বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে যা জানো লেখো। |
ভূমিকা
বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদের প্রধান প্রবক্তা হলেন কার্ল মার্কস এবং ফ্রেডারিখ এঙ্গেলস। আদি সমাজতন্ত্রবাদীরা সমাজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সঠিক পথ দেখাতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে মার্কস এবং এঙ্গেলসের বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদ
কতগুলি নির্দিষ্ট মতাদর্শের ওপর ভিত্তি করে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদ গড়ে ওঠে। এই ধরনের মতাদর্শবাদীদের মূল বক্তব্যগুলি নীচে আলোচনা করা হল-
① শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা
বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদীরা সকলপ্রকার শোষণহীন সমাজব্যবস্থার কথা বলেন। তাদের বিশ্বাস এইরূপ সমাজের নেতৃত্ব দেবে শ্রমিকশ্রেণি। এর দ্বারাই প্রতিষ্ঠিত হবে সর্বহারার একনায়কতন্ত্র।
② উৎপাদন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ
বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদীরা মনে করতেন ব্যক্তিমালিকানার পরিবর্তে উৎপাদন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ কায়েম হবে। এতে সমাজে পুঁজিবাদীদের প্রভাব কমবে।
③ সম্পদ বণ্টনে সাম্য প্রতিষ্ঠা
সমাজে সম্পদ বণ্টনে অসাম্যের কারণে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদীরা চিন্তিত ছিলেন। সম্পদ বণ্টনে সাম্য প্রতিষ্ঠিত হলে সমাজে মালিক ও শ্রমিকশ্রেণির মধ্যেকার বৈষম্য দূর হবে বলে তারা মনে করতেন।
④ প্রাকৃতিক সম্পদে সকলের সমান অধিকার
বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদীদের মতে, সমাজের প্রাকৃতিক সম্পদগুলি কোনো ব্যক্তির দ্বারা সৃষ্ট নয়। ফলে এগুলির ওপর ব্যক্তিগত নয়, সকলের সমান অধিকার থাকা উচিত।