প্রকৃতি ও সময়কাল অনুসারে আগ্নেয়গিরির শ্রেণিবিভাগ করো

প্রকৃতি ও সময়কাল অনুসারে আগ্নেয়গিরির শ্রেণিবিভাগ করো
প্রকৃতি ও সময়কাল অনুসারে আগ্নেয়গিরির শ্রেণিবিভাগ করো
আগ্নেয়গিরির প্রকৃতি ও অগ্ন্যুৎপাতের সময়কালের ব্যাপ্তি অনুসারে আগ্নেয়গিরিকে প্রধানত তিনভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলি হল – জীবন্ত আগ্নেয়গিরি, সুপ্ত আগ্নেয়গিরি, মৃত আগ্নেয়গিরি।

(১) জীবন্ত আগ্নেয়গিরি (Active Volcano):

সংজ্ঞা : পৃথিবীপৃষ্ঠের যে-সব আগ্নেয়গিরিতে উৎপত্তির সময়কাল থেকে আজ পর্যন্ত অগ্ন্যুৎপাত হয়ে চলেছে, অথবা যে-কোনো সময় অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাকে জীবন্ত বা সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বলে। এই জীবন্ত আগ্নেয়গিরি আবার দুই প্রকার, সেগুলি হল–

(ক) অবিরাম আগ্নেয়গিরি (Incessant Volcano) :

সংজ্ঞা: পৃথিবীর যে-সব আগ্নেয়গিরি থেকে প্রতিনিয়ত বা অনবরত অগ্ন্যুৎপাত হতে থাকে, সেগুলিকে অবিরাম আগ্নেয়গিরি বলে।
উদাহরণ : ইটালির ভিসুভিয়াস, হাওয়াই দ্বীপের মৌনালোয়া।

(খ) সবিরাম আগ্নেয়গিরি (Intermittent Volcano) :

সংজ্ঞা: যে-সব জীবন্ত আগ্নেয়গিরি থেকে কিছুদিনের ব্যবধানে বা কয়েক বছর পরে পরে আগ্নেয় পদার্থ নির্গত হয়, সেগুলিকে সবিরাম আগ্নেয়গিরি বলে।

উদাহরণ: ইটালির স্টুম্বোলি, ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া।

(২) সুপ্ত আগ্নেয়গিরি (Dormant Volcano) :

সংজ্ঞা: পৃথিবীপৃষ্ঠের যে-সব আগ্নেয়গিরি অতীতে জীবন্ত ছিল, বর্তমানে অগ্ন্যুৎপাত আপাতত বন্ধ আছে, কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে যে-কোনো সময় অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাকে সুপ্ত বা ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি বলে।
উদাহরণ: জাপানের ফুজিয়ামা বা মাউন্ট ফুজি, মেক্সিকোর পারিকুতিন।

(৩) মৃত আগ্নেয়গিরি (Extinct Volcano) :

সংজ্ঞা: যে-সব আগ্নেয়গিরিতে উৎপত্তির সময় অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে, বর্তমানে আগ্নেয় পদার্থ নির্গত হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতে অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই, তাকে মৃত বা নিষ্ক্রিয় আগ্নেয়গিরি বলে।
উদাহরণ: মায়ানমারের মাউন্ট পোপো।

Leave a Comment