অবশিষ্ট বা ক্ষয়জাত পর্বত কাকে বলে? এই পর্বতের সৃষ্টির কারণ বর্ণনা করো। |
অবশিষ্ট পর্বত বা ক্ষয়জাত পর্বত:
বহুবছর ধরে সূর্যকিরণ, বৃষ্টিপাত, প্রবহমান জলধারা, হিমবাহ ও বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা পর্বত, মালভূমি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যে অবশিষ্ট উচ্চভূমিতে পরিণত হয়, তাকে অবশিষ্ট বা ক্ষয়জাত পর্বত বলে। যেমন- ভারতের রাজস্থানের আরাবল্লি, পশ্চিমবঙ্গের শুশুনিয়া, অযোধ্যা, উত্তর আমেরিকার হেনরি, অ্যাপেলেশিয়ান প্রভৃতি।
ক্ষয়জাত পর্বত সৃষ্টির প্রক্রিয়া:
ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত কোনো ভঙ্গিল পর্বত, স্তূপ পর্বত, আগ্নেয় পর্বত, মালভূমি কিংবা কোনো উচ্চভূমি দীর্ঘদিন ক্ষয়ের ফলে নিম্নলিখিত কারণে ক্ষয়জাত পর্বত সৃষ্টি করে, যেমন–
(১) ভূপৃষ্ঠস্থ শিলাস্তরের বৈষম্যমূলক গঠন:
ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন পর্বত কিংবা উচ্চভূমিগুলি কঠিন এবং কোমল শিলায় গঠিত হওয়ার কারণে সূর্যতাপ, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ, নদীকার্য প্রভৃতির আঘাতে মূলত কোমল শিলাগুলি ক্রমাগত ক্ষয় হলে, একসময় সংশ্লিষ্ট পর্বত বা উচ্চভূমিটি ক্ষয়জাত পর্বতে পরিণত হয়। যেমন – আরাবল্লি পর্বতের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াটি ঘটেছে।
(২) পাললিক শিলায় উদ্বেধী আগ্নেয় শিলার অনুপ্রবেশ :
ভূপৃষ্ঠস্থ পাললিক শিলাস্তরে কোথাও যদি উদ্বেধী আগ্নেয় শিলার অনুপ্রবেশ ঘটে, সেখানে উপরের কোমল পাললিক শিলাটি দীর্ঘদিন ধরে ক্রমাগত ক্ষয় পেয়ে অপসারিত হয়, এবং নীচের আগ্নেয় শিলাটি উন্মুক্ত হয়ে ক্ষয়জাত পর্বতের সৃষ্টি করে। যেমন – উত্তর আমেরিকার হেনরি পর্বতটি এইভাবে সৃষ্টি হয়েছে।