মানবজীবনের ওপর পর্বতের কী প্রভাব দেখা যায়

মানবজীবনে পর্বতের প্রভাব অপরিসীম। যেমন–

সুউচ্চ পর্বতশ্রেণি কোনো অঞ্চলের জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যেমন- ভারতের উত্তরে হিমালয় পর্বত অবস্থান করায় গ্রীষ্মকালে জলীয়বাষ্পপূর্ণ দক্ষিন-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটে এবং শীতকালে সাইবেরিয়ার শুদ্ধ শীতল বাতাসের ভারতে প্রবেশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।

বরফাবৃত পর্বতমালা নদনদীর উৎস হিসেবে কাজ করে এবং নদীতে সারা বছর জলের জোগান দেয়।

পার্বত্য অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ থেকে প্রচুর কাঠ, ভেষজ ওষুধ, ফল, মধু, মোম পাওয়া যায়।

পার্বত্য অঞ্চলের তৃণভূমিতে পশুচারণ করে বহু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন।

পার্বত্য অঞ্চলে কৃষি অনুন্নত হলেও পর্বতের গায়ে ধাপ কেটে চা, কফি, ধান প্রভৃতির চাষ করা হয়।

বনজ ও কৃষিজ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বন্ধুর ভূপ্রকৃতিতেও চা শিল্প, কাগজ শিল্প, প্লাইউড শিল্প গড়ে উঠেছে।

পার্বত্য অঞ্চলের মনোরম জলবায়ু ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনে সহায়তা করে থাকে।

পার্বত্য অঞ্চলে নদীগুলি খরস্রোতা হওয়ায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।

দুর্গম পর্বতমালা প্রাচীরের মতো অবস্থান করে দেশকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।