রচনার ভাষা তার বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে।”—এই বক্তব্যের সমর্থনে রচনাকার কী কী উদাহরণ দিয়েছেন? |
‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধাংশের রচনাকার সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন, রচনার ভাষা হয় তার – বিষয়বস্তু অনুযায়ী। এই মন্তব্যের স্বপক্ষে তিনি দেখিয়েছেন–
(১) শংকর দর্শনের আলোচনার ভাষা সংস্কৃত শব্দবহুল শুধুমাত্র তার বিষয়বস্তুর জন্য।
(২) কোনো মোগলাই রেস্তোরাঁর বর্ণনার সময় আরবি-ফারসি মিশ্রিত কথ্যরীতি লক্ষ করা যাবে।
(৩) আবার, ‘বসুমতী’ পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগ যেমন গাম্ভীর্যপূর্ণ ভাষায় রচিত, তেমনই ‘বাঁকা চোখ’ বিভাগের সরস আলোচনামূলক প্রবন্ধের ভাষা কিন্তু হত চটুলতাপূর্ণ।