“বাঙালির চরিত্রে বিদ্রোহ বিদ্যমান।” — প্রসঙ্গ নির্দেশ করে লেখক যা বোঝাতে চেয়েছেন লেখো

"বাঙালির চরিত্রে বিদ্রোহ বিদ্যমান।” -- প্রসঙ্গ নির্দেশ করে লেখক যা বোঝাতে চেয়েছেন লেখো
“বাঙালির চরিত্রে বিদ্রোহ বিদ্যমান।” — প্রসঙ্গ নির্দেশ করে লেখক যা বোঝাতে চেয়েছেন লেখো। 
সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধাংশে প্রশ্নোদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন। তাঁর মতে, 
(১) রাজনীতি, ধর্ম, সাহিত্য যে-কোনো ক্ষেত্রে বাঙালি যখনই সত্য-শিব-সুন্দরের সন্ধান পেয়েছে তখনই তাকে গ্রহণ করতে গেছে। 
(২) সেই প্রচেষ্টায় বাধা পেলেই সে বিদ্রোহ করেছে। 
(৩) আবার, এই বিদ্রোহ কখনও উচ্ছৃঙ্খলতায় পরিণত হলে তখন তার বিরুদ্ধেও আবার বিদ্রোহ করেছে বাঙালি। 
(৪) কার্যত, হিন্দুই হোক আর বাঙালি মুসলিমই হোক সব বাঙালিই বিদ্রোহ জানানোতে সমান তৎপর। তাই যখনই ঔদ্ধত্য নিজের আত্মবিস্তার করতে চেয়েছে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে যে-কোনো বাঙালিই প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে।

Leave a Comment