ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য কী ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা নেওয়া হয়? |
ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য গৃহীত পরিকল্পনাগুলি হল–
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বে গৃহীত ব্যবস্থা:
দুইভাবে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
• গঠনমূলক ব্যবস্থাপনা:
(i) ঝড়ের সময় আশ্রয় নেওয়া যায় এমন গৃহ নির্মাণ করতে হবে;
(ii) ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধক ব্যবস্থা নিয়ে গৃহ নির্মাণ করতে হবে;
(iii) ঘূর্ণাবর্তের পূর্বাভাস সঠিক সময়ে দিতে হবে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করতে হবে;
(iv) উপকূলবর্তী এলাকায় বায়ুর গতিবেগ নিয়ন্ত্রণের জন্য ঝাউ, ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ লাগাতে হবে;
(v) ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা পেয়ে যাতে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়া যায় তার জন্য উন্নত সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
• অগঠনমূলক ব্যবস্থাপনা:
(ⅰ) ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে মানচিত্র তৈরি করতে হবে;
(ii) ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা করে ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকা ছেড়ে কম দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় গৃহ নির্মাণের পরিকল্পনা করতে হবে;
(iii) ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস যাতে সঠিক সময়ে দ্রুত জনগণের কাছে পৌঁছায় তার ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় গৃহীত ব্যবস্থা:
মজবুত বাড়িঘরের মধ্যে আশ্রয় নেওয়া।
ঝড় চলাকালীন বাড়ির বাইরে না বেরোনো।
গাছের তলায়, বৈদ্যুতিক তারের নীচে না থাকা। সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়া।
গৃহপালিত পশুদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া।
ঘূর্ণিঝাড়র পরবর্তী গৃহীত ব্যবস্থা:
ঝড়ে আটকে পড়া মানুষ ও পশুদের উদ্ধার করা।
আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা।
প্রয়োজনীয় খাদ্যের ও পানীয় জলের জোগান দেওয়া।
সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা।