বিপর্যয় ব্যবস্থাপনায় বা বিপর্যয় মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের ভূমিকা লেখো |
বিপর্যয় চলাকালীন ও তারপরে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ করার জন্য সহমর্মিতার মানসিকতা ছাত্রজীবন থেকেই গড়ে ওঠা দরকার। তাই বিপর্যয় কী, তার কারণ কী, কীভাবে বিপর্যয়ের সময় সাহায্য করবে, বিপর্যয় মোকাবিলায় কীভাবে নিজেকে তৈরি রাখবে ও মানুষকে বাঁচাবে সে-সমস্ত বিষয়ে যথেষ্ট শিক্ষালাভ ছাত্রজীবনে অতি প্রয়োজন। যেমন—
ভূমিকম্পের সময় গৃহীত ভূমিকা:
ভূমিকম্পের সময় ঘর ছেড়ে ফাঁকা মাঠে বেরিয়ে আসা নিরাপদ।
বেরিয়ে আসতে না পারলে ছাত্র-ছাত্রীরা ঘরের মধ্যে টেবিল বা বেঞ্চের নীচে আশ্রয় নেবে।
বন্যার সময় শিক্ষার্থীদের ভূমিকা:
বন্যা পশ্চিমবঙ্গের নিত্যসঙ্গী। সেকারণে বন্যাজনিত বিপর্যয় মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। বন্যার সময় বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে নানান রোগ হয়। তাই শিক্ষার্থীরা হ্যালোজন বড়ি বা ব্লিচিং পাউডারের সাহায্যে বিশুদ্ধ পানীয় জল প্রস্তুত করার শিক্ষালাভ করলে বন্যা বিপর্যস্ত মানুষের উপকার করতে পারবে;
বজ্রপাতের সময় শিক্ষার্থীদের ভূমিকা:
বজ্রপাতের সময় ফাঁকা মাঠে বা গাছের তলায় আশ্রয় নেওয়া উচিত নয় এবং ঘরের মধ্যে থাকা যে নিরাপদ এই বিষয়ে সকলকে সচেতন করবে;
বৃক্ষরোপণ:
বিপর্যয় মোকাবিলায় অন্যতম অঙ্গ বৃক্ষরোপণ। এই কর্মসূচি রূপায়ণে ছাত্র-ছাত্রীদের ভূমিকা অপরিসীম; প্রাথমিক চিকিৎসায় জ্ঞানার্জন বিপর্যস্ত এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জ্ঞান থাকলে ডাক্তার বা স্বেচ্ছাসেবকদের আসার পূর্বে নিজেরা নিজেদের ও অন্যান্যদের চিকিৎসা করতে পারবে।
সর্বোপরি, বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের ছাত্র-ছাত্রীরা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সহজে বোঝাতে পারবে এবং নিজের কাজের মধ্য দিয়ে অন্য সকলকে উৎসাহিত করতে পারবে। এইভাবে কোনো এলাকায় সকলে মিলে বিপর্যয় মোকাবিলায় নামলে বিপর্যয়ের দরুন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমে যাবে।