‘পাড়ি দিতে দূর সিন্ধুপারে’-দূর সিন্ধুপারে পাড়ি দেবার আকাঙ্ক্ষা কবিতায় কীভাবে প্রকাশিত হয়েছে? |
কবির আকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি না ঘটা
বাধা পেয়ে কবিচিত্ত আরও ব্যাকুল হয়ে ওঠে, তাঁর আকাঙ্ক্ষা তীব্রতর হয়। ঢেউগুলি গতির বার্তা নিয়ে আসে। কবিকে স্থির থাকতে দেয় না। তিনি সারারাত প্রাণপণে দাঁড় টানেন। মাস্তুলে পাল বাঁধেন। তারার দিকে চেয়ে দিক স্থির করেন। কিন্তু তাঁর তরিখানি সচল হয় না। কবির আকাঙ্ক্ষারও নিবৃত্তি ঘটে না।
সুদূরে পাড়ি দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা
সংসারে স্নেহ-মায়া-মমতা-পিছুটান, সমাজের দায়িত্ব কর্তব্য ইত্যাদি বড়ো কঠিন বাঁধনে বাস্তব বেঁধে রাখে মানুষকে। কিন্তু মন তো অবুঝ। সে যা আকাঙ্ক্ষা করে তা পায় না। নিঃসঙ্গ-নিস্তব্ধ নিশীথে কবির রোমান্টিক সত্তা জাগে। সুদূর কল্পলোক তাঁকে ডাকে। সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে কবি চলে যেতে চান দূর সিন্ধুপারের নতুন দেশে। তরিভরা সৃষ্টিসম্পদ দিকে দিকে বিকীর্ণ করে দিতে চান তিনি। অবশেষ বন্ধনমুক্তির ব্যর্থতায় অসহায় বোধ করেন তিনি। বিষণ্ণ হয়ে পড়ে কবির মন–
তবু থেকে যায় দাঁড় টানার আকাঙ্ক্ষা। এভাবেই আলোচ্য কবিতায় সুদূরে পাড়ি দেবার আকাঙ্ক্ষা প্রতিভাত হয়েছে।