‘জোয়ার-ভাঁটায় বাঁধা এ-তটের কাছে আমার বাণিজ্য-তরী বাঁধা পড়ে আছে।”–কার তরি, কোন তটে বাঁধা পড়ে আছে? জোয়ার ও ভাটায় কীভাবে তা বাঁধা আছে? এর ফলে কী ঘটছে?

'জোয়ার-ভাঁটায় বাঁধা এ-তটের কাছে আমার বাণিজ্য-তরী বাঁধা পড়ে আছে।"--কার তরি, কোন তটে বাঁধা পড়ে আছে? জোয়ার ও ভাটায় কীভাবে তা বাঁধা আছে? এর ফলে কী ঘটছে?
‘জোয়ার-ভাঁটায় বাঁধা এ-তটের কাছে আমার বাণিজ্য-তরী বাঁধা পড়ে আছে।”–কার তরি, কোন তটে বাঁধা পড়ে আছে? জোয়ার ও ভাটায় কীভাবে তা বাঁধা আছে? এর ফলে কী ঘটছে?

যার তরি, যেখানে বাঁধা আছে

অজিত দত্তের ‘নোঙর’ কবিতা থেকে আহূত অংশে স্বয়ং কবির তরির কথা বলা হয়েছে। সমাজ-সংসারের সীমানায় বাস্তব জগতের নদীতটে কবির তরি বাঁধা পড়ে আছে।

জোয়ার ও ভাটায় যা বাঁধা আছে

কবি দূর সমুদ্রপারে পাড়ি দিতে চান তাঁর বাণিজ্যতরি নিয়ে। কিন্তু তটের কিনারে তাঁর নৌকা নোঙরে বাঁধা পড়ে গেছে। জোয়ারের ঢেউগুলি যেন সেই নৌকাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে চায়, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায় সমুদ্রের দিকে। অভিমানে তারা ফুলে ফুলে ওঠে আর ব্যর্থতায় তরিতে মাথা ঠোকে। কবির জীবন সমাজ-সংসারের হাজার কাজের মধ্যে আবদ্ধ। বাস্তবজীবনের উত্থানপতন, আশানিরাশার দ্বন্দু জোয়ারভাটার মতোই কবিসত্তাকে দোলায়িত করে। এভাবেই চাওয়া পাওয়া, সফলতা-বিফলতার জোয়ারভাটায় কবির জীবনতরি সংসারের তটে বাঁধা।

ফলে যা ঘটেছে

জোয়ারভাটায় বাঁধা তটের কাছে কবির তরি আটকে থাকায় কবি তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছোতে পারছেন না। সারারাত তিনি অবিরাম দাঁড় টানছেন, কিন্তু সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। মাস্তুলে পাল টাঙানো, তারা দেখে দিক-নিরূপণ করাও ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ- ‘নোঙরের কাছি বাঁধা তবু এ নৌকা চিরকাল।’

Leave a Comment