‘মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে এইটুকুই আমার নগদ লাভ।’ -কে, কী লাভ করেছে মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে? কীভাবে লাভ করেছে বর্ণনা করো।

'মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে এইটুকুই আমার নগদ লাভ।' -কে, কী লাভ করেছে মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে? কীভাবে লাভ করেছে বর্ণনা করো
‘মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে এইটুকুই আমার নগদ লাভ।’ -কে, কী লাভ করেছে মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে? কীভাবে লাভ করেছে বর্ণনা করো।

যা লাভ করেছে

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথক সুকুমার যে, তার স্কুলজীবনের অঙ্কের মাস্টারমশাইকে নিয়ে একটি পত্রিকায় গল্প লিখে নগদ দশ টাকা দক্ষিণা পেয়েছিলেন। এই দশ টাকাই মাস্টারমশাই-এর কাছ থেকে কথক নগদ লাভ করেছেন।

বর্ণনা

একটি পত্রিকার আবদারে ‘দাম’ গল্পের কথককে তার স্কুলের বিভীষিকা অঙ্কের মাস্টারমশাইকে নিয়ে গল্প লিখতে হয়। সাহিত্যের ইন্দ্র-চন্দ্র-মিত্র-বরুণেরা অর্থাৎ নামজাদা লেখকরা উক্ত পত্রিকাটিকে পাত্তা না দিলে কথকের কাছে ফরমাশ আসে। কথকও ভাবেন যেহেতু পত্রিকাটি বিশেষ প্রচলিত নয়, তাই তিনি স্পর্ধা করে লিখতেই পারেন। তার শৈশবের গল্প লিখতে গিয়ে তিনি বেছে নেন অঙ্কের মাস্টারমশাই-এর সান্নিধ্যে কাটানো ভয়ংকর অভিজ্ঞতাকে। কল্পনার রং মিশিয়ে, উপদেশ বর্ষণ করে যে গল্প কথক লেখেন; তাতে সত্যের অবমাননা করা হয় ঠিকই, তবে তা পাঠকের গল্পপাঠের চাহিদা মেটায়। গল্পের মূলকথা হয়ে ওঠে- ‘অহেতুক তাড়না করে কাউকে শিক্ষা দেওয়া যায় না, গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করতে গেলে গাধাটাই পঞ্চত্ব পায়।’ ছেলেবেলায় শিক্ষার ভয়ংকর পরিবেশ কথককে অঙ্ক শিখতে দেয়নি, বরং যা শিখেছিলেন পরবর্তীতে তাও তিনি ভুলেছেন। অর্থাৎ মাস্টারমশাই-এর কাছ থেকে কথক শিখতে পারেননি কিছুই। মাস্টারমশাই-এর কাছ থেকে তার পাওয়া বলতে পত্রিকায় গল্প লিখে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দশ টাকা দক্ষিণা। তাই কথক সেই দক্ষিণাকে ‘নগদ লাভ’ বলেছেন।

Leave a Comment