ইলিয়াস চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো

ইলিয়াস চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো
ইলিয়াস চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

ভূমিকা

‘ইলিয়াস’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তথা নায়ক চরিত্র ইলিয়াস। গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইলিয়াসের জীবনের ছবিটি সম্যকভাবে ধরা পড়েছে। আর এখান থেকে ইলিয়াসের চরিত্রের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আমাদের চোখে পড়েছে।

পরিশ্রমী ও কর্মপ্রিয়

ইলিয়াস একই সঙ্গে পরিশ্রমী ও কর্মপ্রিয় ছিল। লেখক জানিয়েছেন- ‘… ইলিয়াসের সুব্যবস্থায় তার সম্পত্তি কিছু কিছু করে বাড়তে লাগল।’ নিজের অবস্থার উন্নতির জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যেত সে। তার সঙ্গী হত তার স্ত্রী। মালিক হওয়া সত্ত্বেও তার মধ্যে কোনো অহংকার ছিল না। কীভাবে সম্পত্তি রক্ষা করা যায়, সম্পত্তি কীভাবে বজায় থাকে-এ সব নিয়ে নানা চিন্তায় মগ্ন থাকত সে।

কর্তব্যপরায়ণ পিতা

ইলিয়াস কর্তব্যপরায়ণ পিতাও ছিল বটে। কারণ তার সমস্ত পরিশ্রমের ফল তার সন্তানের জন্যই। কিন্তু একসময় যখন পুত্রদের যন্ত্রণা আর মেনে নিতে পারেনি তখন থেকে কর্তব্যপরায়ণ পিতৃসুলভ সত্তার পরিচয় দিয়েছে সম্পত্তির অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত না করে।

অতিথিবৎসল মনোভাব

ইলিয়াস ধনী হবার পর তার পরিচিতির মাত্রাও বেড়ে যায়। সে এই সময় অতিথিদের সকলকেই সন্তুষ্ট করতে জানত। লেখক জানিয়েছেন, “দূরদূরান্ত থেকে অতিথিরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসে। সকলকেই স্বাগত জানিয়ে সে তাদের ভোজ্য পানীয় দিয়ে সেবা করে। সে যখনই আসুক, কুমিস, চা, শরবত আর মাংস সব সময়েই হাজির।”

কর্তব্যপরায়ণ দায়িত্বসুলভ মানসিকতা

ইলিয়াস শুধুমাত্র পিতৃসুলভ ছিল তাই-ই নয়, প্রভুর প্রতিও সে ছিল দায়বদ্ধ। শুধু দায়বদ্ধতাই নয়, ভালোবাসা, কর্তব্যবোধ এসবই ছিল তার মধ্যে। এ প্রসঙ্গে লেখকের মন্তব্য- ‘তারা অলস নয়, সাধ্যমতো কাজকর্ম করত।’

অধ্যাত্মচেতনাবোধ

সংসারজীবনে অনেক কিছু পাওয়া ও হারানোর পর ইলিয়াসের আধ্যাত্মিক চেতনা প্রসারিত হয়েছিল। সে বুঝতে পেরেছিল বিষয়সম্পত্তি নয়, মুক্তি বা শান্তি মানুষের সেবার মধ্যে। তাই মালিককে প্রভুজ্ঞানে সেবা করেছে সে।

উল্লিখিত গুণগুলির সমাহারে ইলিয়াস চরিত্রটি আমাদের সামনে প্রকাশিত হয়েছে।

Leave a Comment