উড্রো উইলসনের ‘চোদ্দো দফা’ নীতির শর্তগুলি লেখো

উড্রো উইলসনের ‘চোদ্দো দফা’ নীতির শর্তগুলি লেখো – আজকের পর্বে উড্রো উইলসনের ‘চোদ্দো দফা’ নীতির শর্তগুলি আলোচনা করা হল।

    উড্রো উইলসনের ‘চোদ্দো দফা’ নীতির শর্তগুলি লেখো

    উড্রো উইলসনের 'চোদ্দো দফা' নীতির শর্তগুলি লেখো
    উড্রো উইলসনের ‘চোদ্দো দফা’ নীতির শর্তগুলি লেখো।

    ভূমিকা

    প্রথম বিশ্বযুদ্ধের এক সন্ধিক্ষণে 1917 খ্রিস্টাব্দে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং তার ফলে জার্মানির পরাজয় ত্বরান্বিত হয়। যুদ্ধ শেষে যুদ্ধরত দেশগুলির মধ্যে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী বলে প্রমাণিত হয়। যুদ্ধে যোগদানের সময় থেকেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন বিভিন্ন সময়ে তাঁর যুদ্ধে যোগদানের মহান উদ্দেশ্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। 1918 খ্রিস্টাব্দে জার্মানির পতন আসন্ন হলে উইলসন তাঁর আদর্শগুলিকে ব্যাখ্যা করেন। উইলসনের প্রস্তাবিত শান্তির আদর্শই মিত্রপক্ষের শান্তির প্রস্তাবে পরিণত হয়। 1918 খ্রিস্টাব্দে ৪ জানুয়ারি জাতীয় সভার অধিবেশনে উইলসন তাঁর বিখ্যাত চোদ্দো দফা নীতি ঘোষণা করেন।

    চোদ্দো দফা নীতির শর্তাবলি

    ① জার্মানি অধিকৃত অঞ্চলসমূহ ছেড়ে দিয়ে তার পূর্বের সীমানায় ফিরে যাবে।

    ② আলসাস-লোরেন অঞ্চল ফ্রান্সকে ফিরিয়ে দিতে হবে।

    ③ পোল্যান্ডকে স্বাধীন রাষ্ট্র রূপে স্বীকৃতি দিতে হবে।

    ④ জাতীয়তার ভিত্তিতে বলকান, অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরিকে পুনর্গঠিত করা হবে।

    ⑤ উপনিবেশে উদারনীতি গ্রহণ করতে হবে।

    ⑥ গোপন কূটনীতি ত্যাগ ও অবাধ বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করা হবে।

    ⑦ সমুদ্রপথে প্রত্যেক দেশ স্বাধীনভাবে যোগাযোগ করতে পারবে।

    ⑧ যুদ্ধাস্ত্র হ্রাস করতে হবে।

    ⑨ বিরোধ মীমাংসার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠন করা হবে।

    ⑩ সৈন্য অপসারণ করে বেলজিয়ামের নিরপেক্ষতা মানতে হবে।

    ⑪ রাশিয়া থেকে সৈন্য অপসারণ করতে হবে।

    ⑫ অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরিকে স্বায়ত্তশাসনের অধিকার দিতে হবে।

    ⑬ দার্দানেলিস প্রণালী সব রাজ্যের কাছে উন্মুক্ত করতে হবে।

    14 প্রত্যেক রাষ্ট্রের স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সংস্থাকে নিতে হবে।

    Leave a Comment