‘চণ্ডীর আদেশ পান।’-কে চণ্ডীর আদেশ পান? আদেশ পেয়ে তিনি কী করেন? এখানে তাঁর নাম কেন উল্লেখ করা হয়েছে বলে তুমি মনে করো? তাঁর আর এক নাম কী?

'চণ্ডীর আদেশ পান।'-কে চণ্ডীর আদেশ পান? আদেশ পেয়ে তিনি কী করেন? এখানে তাঁর নাম কেন উল্লেখ করা হয়েছে বলে তুমি মনে করো? তাঁর আর এক নাম কী
‘চণ্ডীর আদেশ পান।’-কে চণ্ডীর আদেশ পান? আদেশ পেয়ে তিনি কী করেন? এখানে তাঁর নাম কেন উল্লেখ করা হয়েছে বলে তুমি মনে করো? তাঁর আর এক নাম কী?
উদ্ধৃতাংশটি কবিকঙ্গণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশে থেকে নেওয়া হয়েছে, যেখানে পবনপুত্র হনুমান কর্তৃক দেবী চণ্ডীর আদেশ পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

কবির বক্তব্য অনুসারে জানা যায়, দেবী চণ্ডীর আদেশ পেয়ে বীর হনুমান লঙ্কাদহনের মতোই ধ্বংসসাধনে ব্রতী হন। অর্থাৎ হনুমানের দাপটে মঠ-অট্টালিকা সব ভেঙে তছনছ বা খানখান হতে শুরু করে যেন।

হনুমানের নাম উল্লেখের কারণ

এখানে বীর হনুমানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এই কারণেই যে ভারতীয় পৌরাণিক ধারণানুসারে হনুমানের বীরত্ব ও ভক্তির কোনো তুলনাই হয় না। মহাকাব্য রামায়ণে দেখি শ্রীরামচন্দ্রের প্রতি গভীর ভক্তিবশত ভক্ত হনুমান একাই প্রবল দাপটে সমগ্র লঙ্কাপুরী তছনছ করে দিয়েছিল। পবনপুত্র হিসেবে হনুমানের আর একটি সুবিধা হল, তিনি ইচ্ছা করলে ঝড়ের ভয়াবহতা সৃষ্টি করতে পারেন পবন অর্থাৎ বাতাসের সাহায্য গ্রহণ করে। এখানেও সেই একইভাবে কলিঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ ঝড় সৃষ্টি করেই যেন বীর হনুমান সমস্ত বড়ো বড়ো মঠ ও প্রাসাদ-অট্টালিকা ধ্বংস করে দিয়েছেন। কলিঙ্গরাজ্যে ঝড়ের তীব্রতা বা দাপটের ভয়াবহতা বোঝাতেই কবি এখানে বীর হনুমানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। কেন-না এ এমনই মহাধ্বংস সৃষ্টিকারী ঝড়, যা পবনপুত্র হনুমানের পক্ষেই সৃষ্টি করা সম্ভব।

পবনপুত্র হনুমানের আর এক নাম ‘মারুতি।’

Leave a Comment