‘তেমনি করেই সূর্য ওঠে, তেমনি করেই ছায়া’ –সূর্য ওঠা ও ছায়ার তেমনি করেই ফিরে আসার তাৎপর্য নির্দেশ করো। |
প্রসঙ্গ
তাৎপর্য
আবহমান কাল ধরে প্রবাসী বাঙালির প্রকৃতির সান্নিধ্যে বাংলার গ্রামজীবনে ফিরে আসার টান কবির অনুভবে ধরা পড়েছে আলোচ্য কবিতায়। কবি এ কবিতায় দেখিয়েছেন ‘ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়’ ছোটো ছোটো গ্রামগুলি যুগ যুগ ধরে যে অকৃত্রিম আনন্দের উপাদান সাজিয়ে রেখেছে তার বুকে, তা পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না বলে প্রবাসীরা বারেবারে ফিরে আসে এ বাংলায়। এই বাংলার মাটিকে -হাওয়াকে বঙ্গবাসী ভালোবেসে ফেলে নিবিড় অনুরাগে’। তাই এই বাংলাকে ঘিরে বাঙালির যাওয়া-আসার স্রোত অব্যাহত থাকে চিরকাল। কবি নানা প্রাকৃতিক অনুষঙ্গ ব্যবহার করে বাংলার নিসর্গসৌন্দর্যের চিরায়ত রূপটি ফুটিয়ে তুলেছেন বলে এ কবিতায় অনিবার্য হয়ে পড়েছে সূর্যের যাওয়া-আসার চিত্রকল্পটির ব্যবহার। সূর্য যেমন নিয়ম করে উদিত হয়, সূর্যের সঙ্গে নিয়ম করে আসে ছায়া, তেমনই বাংলার বুক জুড়ে থাকে মানুষের চলমান স্রোত। এ বাংলার বুকে ঘর বেঁধেও তারা হারিয়ে যায়, আবার এ বাংলাকে ভালোবেসেই তারা ফিরে আসে। প্রকৃতি আর মানুষের চলাচল এ বাংলায় যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।