বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা কী ছিল? |
ভূমিকা
আন্দোলনের ধরন
[1] স্বদেশি দ্রব্যের ব্যবহার করা।
[2] বিদেশি জিনিস ও কাচের চুড়ি ভেঙে ফেলা।
[3] অরন্ধন দিবস পালন করা।
[4] আন্দোলনকারী ও বিপ্লবীদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করা।
আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা
জাতীয়তাবাদী নারীরা পুরুষের সঙ্গে সমবেতভাবে আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। তারা গ্রাম ও শহরে সর্বত্র চরকার প্রবর্তন, অর্থসংগ্রহ (লক্ষ্মীর ভাণ্ডার) প্রভৃতি কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।
মা লক্ষ্মী-র ধারণার প্রচার: বঙ্গভঙ্গবিরোধী নারীদের আন্দোলনে দেবী লক্ষ্মীকে রূপক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বলা হয় বঙ্গভঙ্গের জন্য মা লক্ষ্মী দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁকে ফিরিয়ে আনার জন্য সকল নারীকে চেষ্টা করতে হবে।
‘মায়ের কৌটা’য় অর্থ ও সম্পদ সংগ্রহ: বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনে অর্থসংগ্রহের জন্য ‘মায়ের কৌটা’-র কথা বলা হয়। মায়ের কৌটা বলতে বোঝায় প্রতি বাড়িতে একটি করে কৌটা রাখতে হবে, যে কৌটায় প্রতিদিন দেশমায়ের জন্য একমুঠো করে চাল রাখতে হবে। আবার কোনো নারী বেশি অর্থ দান করলে বা কোনো দুঃসাহসিক কাজ করলে তাকে ‘বঙ্গলক্ষ্মী’ উপাধিও দেওয়া হত।
বিপ্লবীদের সহায়তা: বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিপ্লবী আন্দোলনের প্রসার ঘটে। ভগিনী নিবেদিতা বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন। তিনি সক্রিয়ভাবে বাংলার বিপ্লবী গুপ্তসমিতির (অনুশীলন সমিতি) সঙ্গে যুক্তও ছিলেন। বাংলার যেসব নারীরা বিপ্লবীদের আশ্রয়দান, গোপন সংবাদ আদানপ্রদান, অস্ত্র লুকিয়ে রাখা ও অস্ত্র সরবরাহের কাজে সাহায্য করতেন তাঁদের মধ্যে বীরভূমের দুকড়িবালা দেবী, ঢাকার ব্রহ্মময়ী সেন, ফরিদপুরের সৌদামিনী দেবী, বরিশালের সরোজিনী দেবীর নাম স্মরণীয়।