১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণ সম্পর্কে আলোচনা করো

১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণ সম্পর্কে আলোচনা করো
১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণ সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমিকা

বাংলায় সশস্ত্র বিপ্লবী কার্যকলাপ ভারতবর্ষের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রামের পাহাড়তলির ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণ ছিল বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

পাহাড়তলির ইউরোপীয় ক্লাব

চট্টগ্রামে অবস্থিত পাহাড়তলির ইউরোপীয় ক্লাবে সাধারণ ভারতবাসীর প্রবেশের কোনো অধিকার ছিল না। এটি ছিল শ্বেতাঙ্গদের আমোদপ্রমোদ তথা বিনোদনের একটি কেন্দ্র। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের পর মাস্টারদা সূর্য সেন ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে পাহাড়তলির ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণ

মাস্টারদা সূর্য সেন ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণের মূল দায়িত্বভার অর্পণ করেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের উপর। এই পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত অপর নারী বিপ্লবী কল্পনা দত্ত ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণের এক সপ্তাহ আগে পুলিশের কাছে ধরা পড়েন। প্রীতিলতার সক্রিয় নেতৃত্বে কালিকিঙ্কর দে, মণি দত্ত, শান্তি চক্রবর্তী প্রমুখ বিপ্লবী ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ২৪ সেপ্টেম্বর পাহাড়তলির ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণ করে। এই দুঃসাহসিক অভিযানে বোমা, পিস্তল প্রভৃতি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাঁরা বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেন।

পরিণতি

ক্রমশ পুলিশের প্রবল আক্রমণ ও গুলিবর্ষণে বিপ্লবীরা দিশাহারা হয়ে যায়। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার গুরুতরভাবে আহত হন। শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ না করার অভিপ্রায়ে তিনি পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন।

Leave a Comment