বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো

বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো
বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো

ভূমিকা

বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স হল বাংলার একটি বিপ্লবী গুপ্তসমিতি। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স নামে একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠিত হয়। এর অন্যতম সংগঠক ছিলেন মেজর সত্য গুপ্ত। তবে এই দলের সর্বময় নেতা ছিলেন হেমচন্দ্র ঘোষ। বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সকে সংক্ষেপে বি ভি (B. V) বলা হত। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে এই দলের শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। এদের মধ্যে মেদিনীপুর শাখাটি ছিল বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

বেঙগল ভলান্টিয়ার্সের প্রধান কর্মীবৃন্দ

বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের প্রধান কর্মীরা সমবেতভাবেই দল পরিচালনা করতেন। হেমচন্দ্র ঘোষ ছাড়া এর অন্যান্য প্রধান কর্মীরা ছিলেন হরিদাস দত্ত, সত্য গুপ্ত, মীরা দত্তগুপ্তা, সত্যরঞ্জন বক্সী প্রমুখ।

বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের সদস্যদের উল্লেখযোগ্য কাজ

বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের সদস্যদের উল্লেখযোগ্য কাজগুলি হল–

[1] বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্তের রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান। 

[2] প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য কর্তৃক ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট ডগলাসকে হত্যা।

[3] অনাথবন্ধু পাঁজা ও মৃগেন দত্ত কর্তৃক ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট বার্জকে হত্যার চেষ্টা।

বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের অন্যান্য বিপ্লবী সদস্য

বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের অন্যান্য বিপ্লবী সদস্যরা হলেন ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ, নবজীবন ঘোষ প্রমুখ।

বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলের অবসান

বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলের বিভিন্ন নেতা ও কর্মী কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। জেলে থাকার সময়েই এই দলের নেতারা আলাপ-আলোচনা করে বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দল ভেঙে দেন। এই উদ্দেশ্যে ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে হেমচন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে বক্সা ক্যাম্পে বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলের সদস্যরা সমবেত হন। পরবর্তীকালে এই দলের সদস্যরা সুভাষচন্দ্র বসুর ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ দলে যোগদান করেন।

মূল্যায়ন

বিংশ শতকের প্রথম থেকেই বাংলা বিপ্লবী আন্দোলনের পীঠস্থানে পরিণত হয়েছিল। বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলই ছিল এর প্রধান চালিকাশক্তি। এই দলের কার্যকলাপ ব্রিটিশ সরকারকে শঙ্কিত করে তুলেছিল।

Leave a Comment