ভগৎ সিং ইতিহাসে স্মরণীয় কেন? |
ভূমিকা
ভারতের সশস্ত্র বিপ্লবের ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হলেন ভগৎ সিং। ভগৎ সিং সম্পর্কে পট্টভি সীতারামাইয়া মন্তব্য করেছিলেন ‘ভগৎ সিং ছিলেন সমগ্র দেশে গান্ধিজির মতোই জনপ্রিয় ও সর্বজনবিদিত’।
ভগৎ সিং-এর বিপ্লবী জীবনে প্রবেশ
বিপ্লবী চন্দ্রশেখর আজাদের সংস্পর্শে এসে ভগৎ সিং-এর বিপ্লবী জীবনের সূচনা হয়। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ফিরোজ শাহ কোটলা ময়দানে অন্যান্য বিপ্লবীদের সঙ্গে সমবেত হয়ে তিনি হিন্দুস্তান রিপাবলিকান পার্টির নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন। এই দলেরই নতুন নামকরণ হয় হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন।
ভগৎ সিং-এর বিপ্লবী কার্যকলাপ
ভগৎ সিং-এর বিপ্লবী কার্যকলাপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
স্যান্ডার্স হত্যা
সাইমন কমিশনবিরোধী মিছিলে পুলিশের লাঠির আঘাতে জননেতা লালা লাজপত রায়ের মৃত্যুর শান্তিবিধানে তিনি বদ্ধপরিকর ছিলেন। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তিনি প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট স্যান্ডার্সকে গুলি করে হত্যা করেন (১৯২৮ খ্রি.)।
কেন্দ্রীয় আইনসভায় বোমা নিক্ষেপ
১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ৮ এপ্রিল দিল্লির কেন্দ্রীয় আইনসভায় শিল্পবিরোধী বিল ও জনসুরক্ষা বিল নামক দুটি প্রতিক্রিয়াশীল জনবিরোধী বিলের বিরুদ্ধে ভগৎ সিং এবং বটুকেশ্বর দত্ত আইনসভায় বোমা নিক্ষেপ করেন।
লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা
কেন্দ্রীয় আইনসভায় বোমা নিক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত-সহ বেশ কয়েকজন বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা রুজু করা হয়। এই মামলার বিচার অনুযায়ী ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মার্চ লাহোর জেলে ভগৎ সিং-এর ফাঁসি হয়।
উপসংহার
ভারতবর্ষ থেকে ইংরেজদের বিতাড়ন এবং সমাজতান্ত্রিক আদর্শের ভিত্তিতে রাষ্ট্রগঠনই ছিল ভগৎ সিং-এর বিপ্লববাদী কার্যকলাপের মূল লক্ষ্য। তাই ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ভগৎ সিং-এর নাম চিরস্মরণীয়।