‘বখস্ত আন্দোলন’ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো

'বখস্ত আন্দোলন' সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো
‘বখস্ত আন্দোলন’ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।

ভূমিকা

১৯৩০-৩৩ খ্রিস্টাব্দে আইন অমান্য আন্দোলনের সময় ভারতের কৃষক আন্দোলন আরও বেশি সংগঠিত রূপ ধারণ করেছিল। এই কালপর্বে বিহারের গয়া, মুঙ্গের, পাটনা, ছোটোনাগপুর অঞ্চলে সংঘটিত বখস্ত আন্দোলন ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কৃষক আন্দোলন।

বখস্ত আন্দোলনের সূচনা

[1] বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মহামন্দার দরুন বিহারে বেশ কিছু জমির খাজনা বাকি পড়েছিল। এই অঞ্চলের জমিদাররা জমিগুলি করায়ত্ত করে নিজেদের খাসজমি বা বখস্ত-এ পরিণত করে।

[2] মহামন্দার সময় খাজনা দিতে না পারায় এই জমিগুলি থেকে প্রজাদের উচ্ছেদ করা হলে তাদের মনে ক্ষোভ জমা হয়, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে বখস্ত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।

আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান

বিহারে স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী, স্বামী করিয়ানন্দ শর্মা, যদুনন্দন শর্মা, পঞ্চানন শর্মা ও পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে এই আন্দোলন পরিচালনা করেন। আন্দোলনকারীরা জমিদারি প্রথা ধ্বংসের দাবি জানিয়েছিল। স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী বিহারে কিষাণসভা গঠনের মাধ্যমে বখস্ত আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

পরিণতি

সরকারি দমননীতির চাপে শেষপর্যন্ত ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে বখস্ত আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।

উপসংহার

ভারতের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে কৃষক আন্দোলনগুলির মধ্যে বখস্ত আন্দোলনের ভূমিকা ছিল নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

Leave a Comment