ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো। |
ভূমিকা
ভারতের শ্রমজীবী সম্প্রদায়ের মানুষকে সংগঠিত করে আন্দোলন পরিচালনার ক্ষেত্রে ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি-র ভূমিকা ছিল বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
প্রতিষ্ঠা
বাংলা, বোম্বাই, পাঞ্জাব এবং যুক্তপ্রদেশে প্রকাশ্যে কমিউনিস্ট কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি গঠিত হয়।
সদস্যবৃন্দ
ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি-র বাংলা দলের সম্পাদক ছিলেন মুজফ্ফর আহমেদ, পাঞ্জাব শাখার মোহন সিং যোশ, বোম্বাই শাখার এস এস মিরাজকর এবং যুক্তপ্রদেশের সম্পাদক ছিলেন পিসি যোশি। বাংলায় ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টিতে বিপ্লবী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, হেমন্ত কুমার সরকার, গোপেন চক্রবর্তী ও ধরণী গোস্বামীর নামও যুক্ত ছিল।
কার্যকলাপ
ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টির নেতৃত্বে কমিউনিস্ট আন্দোলন শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তবে এই দলের কার্যকলাপ শহরে ও শিল্পাঞ্চলেই সীমাবদ্ধ ছিল। শহুরে মধ্যবিত্তশ্রেণির কমিউনিস্ট নেতাদের কার্যকলাপ মূলত শ্রমিক আন্দোলন পরিচালনায় নিয়োজিত হয়েছিল। তাই কমিউনিস্ট আদর্শ শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছিল। তবে ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি কৃষক আন্দোলনের প্রতি গুরুত্ব না দেওয়ায় কৃষক সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্যবাদী প্রভাব তেমনভাবে প্রসারিত হয়নি।
অবদান
ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি সাম্যবাদী ভাবধারা প্রসারের জন্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকা প্রকাশ করেছিল। যেমন- বোম্বাইয়ে ‘ক্রান্তি’, লাহোরে ‘কীর্তি কিষান’, মাদ্রাজে ‘ওয়ার্কার’ ইত্যাদি। এই সকল পত্রপত্রিকার মাধ্যমে সারা ভারতে সাম্যবাদের প্রচার সহজ হয়েছিল।