পৃথিবীতে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি কীভাবে হয় চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো

পৃথিবীতে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি কীভাবে হয় চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো
পৃথিবীতে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি কীভাবে হয় চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।

পৃথিবীতে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্যের প্রসবৃদ্ধির কারণ

21 মার্চ ও 23 সেপ্টেম্বর এই দুটি দিন ছাড়া বছরের বাকি দিনগুলিতে পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাতের দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি হয়। পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার পথটি উপবৃত্তাকার। এই উপবৃত্তাকার কক্ষপথের বিভিন্ন অংশে পৃথিবীর অবস্থান, সূর্য থেকে দূরত্বের তারতম্য এবং পৃথিবীর মেরুরেখা কক্ষতলের সঙ্গে সর্বদা 66½° কোণে হেলে অবস্থানের জন্য দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি হয় [চিত্র 2.13 দ্যাখো]। নীচে দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি কীভাবে হয় তা ব্যাখ্যা করা হল-

কর্কটসংক্রান্তিতে

21 জুন তারিখে পৃথিবী কক্ষপথের এমন এক স্থানে অবস্থান করে যে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে এবং ওই দিন সূর্য কর্কটক্রান্তিরেখার ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে ওই দিন উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে বড়ো দিন ও সবচেয়ে ছোটো রাত হয় এবং দক্ষিশ গোলার্ধে এর ঠিক বিপরীত অবস্থা দেখা যায়।

কর্কটসংক্রান্তির পরবর্তী সময়ে

21 জুনের পর থেকে দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকতে থাকে এবং উত্তর গোলার্ধ সূর্যের থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। এইভাবে উত্তর গোলার্ধে ক্রমশ দিন ছোটো ও রাত বড়ো হতে থাকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে এই সময় ঠিক এর বিপরীত ঘটনা ঘটে।

জলবিষুবের সময়

23 সেপ্টেম্বর তারিখে পৃথিবী কক্ষপথের এমন স্থানে থাকে যেখান থেকে উভয় গোলার্ধ সমান দূরত্বে থাকে এবং উভয় গোলার্ধে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য সমান হয়।

জলবিষুবের পরবর্তী সময়ে

23 সেপ্টেম্বরের পর থেকে দক্ষিশ গোলার্ধ ক্রমাগত সূর্যের কাছে আসতে থাকে এবং উত্তর গোলার্ধ আরও দূরে সরে যেতে থাকে। এইভাবে দক্ষিণ গোলার্ধে ক্রমশ দিন বড়ো এবং রাত ছোটো হতে থাকে এবং উত্তর গোলার্ধে এর বিপরীত অবস্থা দেখা যায়।

মকরসংক্রান্তিতে

22 ডিসেম্বর তারিখে সূর্য মকরক্রান্তিরেখার ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ওই দিন দক্ষিণ গোলার্ধে সব থেকে বড়ো দিন ও ছোটো রাত হয়। উত্তর গোলার্ধে এর ঠিক বিপরীত অবস্থা ঘটে অর্থাৎ দিন ছোটো এবং রাত বড়ো হয়।

মকরসংক্রান্তির পরবর্তী সময়ে

22 ডিসেম্বরের পর থেকে দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্য থেকে দূরে যেতে থাকে এবং উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে সরে আসতে থাকে। এর ফলে দক্ষিণ গোলার্ধে দিন ছোটো ও রাত বড়ো এবং উত্তর গোলার্ধে দিন বড়ো ও রাত ছোটো হতে থাকে।

মহাবিষুবের সময়

21 মার্চ তারিখে পৃথিবী তার কক্ষপথের এমন এক অবস্থানে আসে, যে উভয় গোলার্ধের দূরত্ব সূর্য থেকে সমান হয় এবং সেই দিন পৃথিবীতে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য পুনরায় সমান হয়।

মহাবিষুবের পরবর্তী সময়

21 মার্চের পর থেকে উত্তর গোলার্ধ ক্রমশ সূর্যের নিকটে আসতে থাকে এবং দক্ষিণ গোলাের্ধ দূরে সরে যেতে থাকে। ফলে উত্তর গোলার্ধে ক্রমশ দিন বড়ো এবং রাত ছোটো হয়ে থাকে। দক্ষিণ গোলার্ধে এর বিপরীত অবস্থা দেখা যায়।

1 thought on “পৃথিবীতে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি কীভাবে হয় চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো”

  1. আমার বুঝে আসে না যে,পৃথিবী সুর্যকে প্রদিক্ষণ করে কারণ বাংলাদেশ সৌদির পূর্বে অবস্থিত সূর্যের হিসেবে তিন ঘণ্টা ব্যবধান।বাংলাদেশে লাগাতার তিন চার ঘণ্টা বৃষ্টি হচ্ছে অথচ সৌদি বা তার আশপাশের দেশে তিন ঘণ্টা পর মেঘলাও দেখা যাচ্ছে না এমনই ভাবে বাংলাদেশের শীত আর পশ্চিমের শীত, ইত্যাদি ইত্যাদি ।তাহলে কি পৃথিবীর মাটির সাথেসাথে বায়ু মন্ডল, আকাশ ,আকাশের মেঘ ,ঋতু সবই ঘুরছে ?বুঝিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ হতাম

    Reply

Leave a Comment