নবম শ্রেণি ভূগোল গ্রহরূপে পৃথিবী ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর |
প্লুটোকে ‘বামন গ্রহ’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে কেন?
সৌরজগতের গ্রহগুলির মধ্যে প্লুটোর ভর সবচেয়ে কম হওয়ায় প্লুটোর অভিকর্ষজ টানও খুব দুর্বল। ফলে প্লুটো নিজের কক্ষপথের কাছাকাছি থাকা মহাজাগতিক বস্তুসমূহকে সরিয়ে দিতে পারে না। তা ছাড়া এর কক্ষপথও সুনির্দিষ্ট না হওয়ায় এটি মাঝেমধ্যে নেপচুনের কক্ষপথে প্রবেশ করে। এইসব কারণগুলির জন্য 2006 সালের 24 আগস্ট International Astronomical Union গ্লুটোকে অন্যান্য গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ‘বামন গ্রহ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে মেরুর দিকে অগ্রসর হলে বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায় কেন?
পৃথিবীর দুই মেরুপ্রদেশ চাপা এবং নিরক্ষীয় প্রদেশ স্ফীত। সেজন্যই নিরক্ষীয় অঞ্চলের বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য কম এবং মেরু অঞ্চলে বেশি হয়। 1737 খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের রয়্যাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস কিটো (0°), প্যারিস (49° উত্তর) এবং ল্যাপল্যান্ড (68° উত্তর)-এই তিনটি শহরে পৃথিবীর পরিধির একটি নির্দিষ্ট বৃত্তচাপ নিখুঁতভাবে পরিমাপ করে। দেখা গেছে, কিটো শহরে বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম। প্যারিস শহরে তা কিটো শহরের থেকে বেশি এবং ল্যাপল্যান্ডে এই বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য সর্বাধিক। এর থেকে প্রমাণ হয়, নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে মেরুর দিকে অগ্রসর হলে বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়।
ধ্রুবতারার উন্নতিকোণের সাহায্যে বোঝা যায় পৃথিবী গোলাকার।”-কারণ ব্যাখ্যা করো।
ধ্রুবতারার উন্নতিকোণের সাহায্যে পৃথিবী যে গোল তা বোঝা যায়। ধ্রুবতারাকে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন কোণে লক্ষ করা যায়। নিরক্ষরেখার ওপর একে ০° কোণে, কর্কটক্রান্তিরেখার ওপর 23/½° কোণে এবং সুমেরু বিন্দুতে 90° কোণে দেখা যায়। পৃথিবী গোলাকার বলেই এমন ঘটনা ঘটে। পৃথিবী সমতল হলে পৃথিবীর সব স্থানে ধ্রুবতারাকে একই কৌণিক অবস্থানে দেখা যেত।
নিরক্ষীয় অঞ্চল অপেক্ষা মেরু অঞ্চলে বস্তুর ওজন বেশি হয় কেন?
যেসব স্থান পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে অবস্থিত, সেইসব স্থানে মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাব বেশি। ফলে বস্তুর ওজনও বেশি হবে। পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলক অর্থাৎ পৃথিবীর মেরুপ্রদেশ চাপা এবং নিরক্ষীয় প্রদেশ স্ফীত। তাই নিরক্ষীয় অঞ্চল পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দূরে অবস্থিত হওয়ায় মাধ্যাকর্ষণ বলের মান মেরু অঞ্চল অপেক্ষা কম হয় এবং বস্তুর ওজনও কম হয়। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই নিরক্ষীয় অঞ্চলের তুলনায় মেরু অঞ্চলে বস্তুর ওজন বেশি হবে।