ফাউন্টেন পেনের সৃষ্টি ও প্রসারের ইতিহাস শ্রীপান্থের ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে যেভাবে ফুটে উঠেছে, তা নিজের ভাষায় লেখো। |
ফাউন্টেন পেনের অষ্টা বলা হয় লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যানকে। একবার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ব্যাবসাসংক্রান্ত চুক্তি সারতে গিয়ে দলিলে দোয়াতের কালি পড়ে যাওয়ায় অসুবিধায় পড়েন ওয়াটারম্যান। তাঁর সেই সমস্যার বিহিত করতেই তিনি আবিষ্কার করেন ফাউন্টেন পেন। এই ফাউন্টেন পেনই কলমের দুনিয়ায় বিপ্লব ঘটিয়ে দেয়। এই কলম বা পেনের যে ইতিহাস শ্রীপান্থ তাঁর ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, তা থেকে দেখা যাচ্ছে যে-
ফাউন্টেনের বিভিন্ন শ্রেণি
ফাউন্টেন পেনের বিভিন্ন শ্রেণি তৈরি হয়ে যায়। সেই শ্রেণিগুলো হল-পার্কার, শেফার্ড, ওয়াটারম্যান, সোয়ান, পাইলট প্রভৃতি। এই শ্রেণিগুলো সাধারণত যথেষ্ট দামি ছিল। তবে সস্তার জাপানি পেনও দেখা যেত শ্রীপান্ধদের সময়ে। (খ) ফাউন্টেন ব্যবহারের কালি: ফাউন্টেন পেনের জন্যে বিদেশি কালি তো পাওয়া যেতই, পাওয়া যেত দেশি ‘সুলেখা’, ‘কাজল কালি’ প্রভৃতি। তবে বিদেশি কালি মূলত ব্যবহার হত ফাউন্টেন পেনেই।
ফাউন্টেন পেনের নিব
ফাউন্টেন পেনের নিবের ক্ষেত্রে দামি নিব ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যেত। কখনও প্লাটিনাম, সোনা-এসব মুড়ে ফাউন্টেন পেনের নিব ও বডিকে পোস্ত করা হত। নিব কখনও হিরেরও হত। একবার এক বিজ্ঞাপনে একটি ফাউন্টেনের দাম ধার্য করা হয়েছিল আড়াই হাজার পাউন্ড। সস্তার পেন এসে পড়ায় সেসব ফাউন্টেন পেনেরও দিন গিয়েছে।
-ফাউন্টেন পেনের এমন ইতিহাসই ফুটে উঠেছে ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায়।