দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য তোষণ নীতি কতটা দায়ী ছিল

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য তোষণ নীতি কতটা দায়ী ছিল – আজকের পর্বে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য তোষণ নীতি কতটা দায়ী ছিল তা আলোচনা করা হল।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য তোষণ নীতি কতটা দায়ী ছিল

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য তোষণ নীতি কতটা দায়ী ছিল
    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য তোষণ নীতি কতটা দায়ী ছিল

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য তোষণ নীতি কতটা দায়ী ছিল

    ভূমিকা

    দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তীকালে যে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল তা তোষণ নীতি নামে পরিচিত। 1919 খ্রিস্টাব্দ থেকে মিত্রশক্তিবর্গের অনুসৃত এই নীতির উদ্দেশ্য ছিল চারটি প্রধান রাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে ইউরোপের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

    তোষণ নীতির প্রয়োগ

    বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে তোষণ নীতি স্পষ্ট রূপ ধারণ করেছিল। যেমন-ইঙ্গ-জার্মান নৌচুক্তি, রাইন উপত্যকা অধিকার, স্পেনের গৃহযুদ্ধ, মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষর, জাপানের মাঞ্চুরিয়া আক্রমণ কিংবা ইটালির আবিসিনিয়া আক্রমণ প্রভৃতি।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষেত্রে তোষণ নীতির দায়িত্ব

    তোষণ নীতি একটি ভ্রান্ত ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স মূলত জার্মানি, ইটালি ও জাপানের ক্ষেত্রে তোষণ নীতি গ্রহণ করেছিল। তাতে তাদের (ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স) সাম্রাজ্যবাদী আকাঙ্ক্ষা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। পরবর্তীকালে এই সাম্রাজ্যবাদী উদ্দেশ্যগুলি পূরণ করতে গিয়েই পৃথিবীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল।

    উপসংহার

    প্রথমেই যদি ব্রিটেন ও ফ্রান্স সক্রিয় প্রতিরোধ নীতি গ্রহণ করত বা রাশিয়ার সঙ্গে নাতসি বিরোধী জোট গড়ে তুলত তাহলে হয়ত হিটলার যুদ্ধের ঝুঁকি নিতেন না। তাই গ্যাথন হার্ডি প্রমুখ ঐতিহাসিকরা তোষণ নীতিকে ভ্রান্ত ও অদূরদর্শী নীতি বলে মনে করেন। এই নীতি অনুসরণ করার ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পথ প্রশস্ত হয়।

    Leave a Comment