আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো
‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
গল্প-উপন্যাসের মতো যে-কোনো কবিতার ক্ষেত্রেও নামকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কবিতার বক্তব্য-বিষয়ের সঙ্গে সেই নামকরণের সম্পর্ক থাকে বলে তার সার্থকতা বিশেষভাবে প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতার নামকরণের ক্ষেত্রে দেখা যায় একটি পঙ্ক্তিকে শিরোনাম হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। তা ছাড়া-

মূল বক্তব্য

কবিতাটির মূল বক্তব্য গড়ে উঠেছে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের বিপন্নতাকে কেন্দ্র করে। দিনকাল যা এসেছে, তাতে আমাদের চারদিকে আজ বড়োই বিপদ। সেই বিপদের হাত থেকে কোথাও পালাবার পথ নেই, লুকোবারও উপায় নেই। কোনোভাবে আমরা টিকে থাকলেও আমাদের শিশুদের জীবন বিপন্ন। ইতিহাসহীন-অর্থহীন-পরিচয়হীন-সাহায্যহীন হয়ে আমরাই বা কতদিন টিকে থাকতে পারব তার, ঠিক নেই। আমরা যে-কজন এখনও টিকে আছি, এরকম দুর্দিনে সেই আমাদের সবারই উচিত হাতে হাত রেখে একতার বাঁধনকে সুদৃঢ় করা।

বক্তব্যের ব্যঞ্জনা

আলোচ্য কবিতায় ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ পণ্ডিটি দুবার ব্যবহৃত হয়েছে এবং সেটি কবি সচেতনভাবেই করেছেন। আসলে ঐক্যবদ্ধতার আহবানই সবার কাছে রাখতে চেয়েছেন তিনি। ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ পড়স্তিটি তাই সেই ব্যঞ্জনায় বিশেষভাবে শিল্পিত।

প্রাধান্যের দিক

কবিতাটিতে কবি প্রাধান্য দিয়েছেন ঐক্যবদ্ধতাকেই। হাতে হাত রেখে, সকলে মিলে আরও বেঁধে বেঁধে থেকে ঐক্যবদ্ধতাকে পূর্বের তুলনায় সুদৃঢ় করা যায়। সেটা বোঝাতেই ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ পঙ্ক্তিটি গুরুত্ব পেয়েছে।
 

-শিরোনাম দেবার ক্ষেত্রে কবির এই কৌশল সফল হয়েছে। সেই কারণে কবিতার নামকরণটিও পুরোপুরি সার্থক।

Leave a Comment