পাবলো নেরুদার ‘অসুখী একজন’ কবিতার ভাববস্তুটি বা মূল বক্তব্যটি লেখো। |
যুদ্ধে যোগ দেবার ডাক এসেছিল কবিতার বস্তার। কর্তব্যরক্ষার তাগিদে মানুষটি নিজের প্রিয়তমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে গেলেন দূরে। তিনি জানতেন, যুদ্ধে গেলে তাঁর ফেরা না-ও হতে পারে। বাস্তবে তিনি আর ফিরতে পারলেনও না। কিন্তু তাঁকে বিদায় দেবার কালে তাঁর প্রিয়তমা সেটা বোঝেনি। সে তাই প্রতীক্ষা করে থাকে প্রিয়তমের ফেরার জন্যে। এদিকে সময় বয়ে যেতে থাকে। বস্তা যে রাস্তা দিয়ে চলে গিয়েছিলেন, সেই রাস্তায় থেকে যাওয়া তাঁর পদচিহ্ন অর্থাৎ স্মৃতিচিহ্নও একসময় মুছে যায়। কেটে যায় আরও দীর্ঘ সময়। হঠাৎ একদিন সমস্ত সমতলে নেমে আসে যুদ্ধের আগুন। শুরু হয় হত্যালীলা। তাতে বাদ পড়ে না শিশুরাও। সেই যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যায় বহু ঘরবাড়ি, মন্দির এবং আরও অনেক কিছু। বস্তার স্মৃতিবিজড়িত সুন্দর বাড়িটাও ধ্বংস হতে বাকি থাকে না। চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় এবং আগুনে জ্বলে যায় বাড়িটার অন্য সবও। পুরো শহরটা হয়ে যায় ধ্বংস্তূপ। দোমড়ানো লোহা আর ধ্বংস হওয়া পাথরমূর্তির বীভৎস মাথা ছাড়াও থেকে যায় রক্তের কালো দাগের চিহ্ন। বক্তার প্রিয়তমা মেয়েটি তখনও অপেক্ষা করতে থাকে তার প্রিয়জন ফিরে আসবেন ভেবে।