জ্ঞানচক্ষু গল্প অবলম্বনে তপনের মেসােমশাইয়ের চরিত্র আলােচনা করাে।
|
আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের ‘নতুন মেসো’ গল্পটির একটি বিশেষ চরিত্র। চরিত্রটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়-
প্রাথমিক পরিচয়
প্রাথমিক পরিচয়ে তিনি একটি কলেজের অধ্যাপক এবং একই সঙ্গে একজন লেখক। সম্পর্কে তিনি তপনের ছোটোমাসির স্বামী। সদ্যই বিয়ে হয়েছে তাঁদের।
একজন লেখক
তপনের এই নতুন মেসো বই লেখেন। সে বই ছাপাও হয়। সব মিলিয়ে তাই তিনি একজন পুরোদস্তুর লেখক।
সাধারণ মানুষ
অধ্যাপক এবং লেখক হলেও আর পাঁচটি মানুষের মতোই তিনি ছিলেন সাধারণ। তিনিও সবার মতো দাড়ি কাটা, সিগারেট খাওয়া, চান করা, ঘুমানো, খবরের কাগজের লেখা নিয়ে গল্প-তর্ক করা, সিনেমা দেখা, বেড়াতে যাওয়া-এসব কাজ করেন।
দক্ষতার দিক
লেখার ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতা অবশ্যই ছিল। দক্ষতা ছিল গল্প বোঝার ক্ষেত্রেও। তপনের লেখা
গল্পের কাঁচা দিকটি সেই কারণেই তিনি ধরতে পেরেছিলেন। ধরতে পেরেছিলেন তপনের গল্পের বিশেষত্বও।
করুণাশীলতা
তপনের নতুন মেসোর মধ্যে করুণাশীলতার একটা গুণ ছিল। সেই কারণে করুণা প্রকাশ করে তপনের কাঁচা লেখা নিজে ‘কারেকশান’ করে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সম্পাদককে বলে ছাপিয়ে দিয়েছিলেন।
অন্যকে খুশি করা
নতুন মেসোর মধ্যে অন্যকে খুশি করার একটা মানসিকতা ছিল। তপনের গল্প কাঁচা জেনেও তাকে খুশি করতে তার গল্প ছেপে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।
স্ত্রীর অনুরাগী
তপনের ছোটোমাসি ছিল তাঁর স্ত্রী। সেই স্ত্রীর প্রতি অনুরাগ ছিল বলেই তার অনুরোধে তপনের নতুন মেসো তপনের কাঁচা গল্প একটু ‘কারেকশান’ করে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবার ব্যবস্থা করবেন বলে কথা দিয়েছিলেন।
-এসব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে নতুন মেসোর চরিত্রটি পুরোপুরি সার্থক চরিত্র হয়ে উঠতে পেরেছে।