প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ যেভাবে কলমের বিবর্তনের কথা তাঁর প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, তা উল্লেখ করো। |
প্রাচীন সুমেরিয়ান কিংবা ফিনিসিয়ান সভ্যতায় নলখাগড়া ভোঁতা করে তুলি বানিয়ে বা হাড়কে কলম হিসেবে ব্যবহার করে লেখা হত। রোমে ব্রোঞ্জের শলাকা বা স্টাইলাসকে কলম হিসেবে ব্যবহার করা হত।
ক্রমে পালকের কলমের পরিবর্তে নিব পেন তৈরি হয়, যা পালকের কলমের মতো দোয়াতে ডুবিয়ে লেখা হত। তবে তা সহজে ভোঁতা হত না। আমেরিকান ব্যবসায়ী ওয়াটারম্যান তৈরি করেন ফাউন্টেন পেন এবং পরবর্তী কালে ওই ধারণার একটু রদবদল ঘটিয়ে তৈরি হয় বল পেন বা ডট পেন। সহজলভ্য সস্তা বল পেন বর্তমানে বাজার ছেয়ে গেছে, ফলে তা এখন শিক্ষিত অল্পশিক্ষিত ও বিভিন্ন পেশার মানুষের হাতেই কুক্ষীগত হয়েছে।
বর্তমানে কম্পিউটারের সহজ সুন্দর ব্যবহার ধীরে ধীরে মানুষকে কলমবিমুখ করে তুলছে। এখন অফিস আদালতে কিংবা সাহিত্যিকরা কলমের বদলে কম্পিউটারে লেখালেখিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তাই লেখক লেখালেখির অফিসে কাজ করলেও সেখানে কারওর কাছে কলম খোঁজ করে পান না। কলমের পরিপূরক কম্পিউটারের দাপটে কলমের স্থান ইতিহাসে ক্রমশই পাকা হচ্ছে।