কলমের সঙ্গে বিভিন্ন বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের সম্পর্কের কথা প্রবন্ধ অনুসারে লেখো। |
কলম আবিষ্কারের প্রথম দিকে দোয়াত এবং পালকের কলম কিংবা নিব পেনের ব্যবহার করেই শেকসপিয়র, দান্তে মিল্টন, কালিদাস, ভবভূতি, কাশীরাম দাস, কৃত্তিবাস তাদের সাহিত্য রচনা করে গেছেন। আধুনিক যুগে রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র প্রত্যেকেই লিখে গেছেন দোয়াত-কলম দিয়ে। তার পরবর্তী যুগে শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় কালি-কলম দিয়ে শুধু নিজের কাজ চালাননি, তিনি ফাউন্টেন পেনের একটি সংগ্রহ গড়ে তুলেছিলেন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়েরও ফাউন্টেন পেন সংগ্রহের নেশা ছিল। সুভো ঠাকুর অর্থাৎ সুভগেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত দোয়াত-সংগ্রহ ছিল।
কিছু কাল আগে পর্যন্ত বেশির ভাগ কবি-সাহিত্যিক লেখালেখির কাজে কলমের ব্যবহার করলেও ব্যতিক্রমী ছিলেন অন্নদাশঙ্কর রায় এবং কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। সত্যজিৎ রায় নিজের বইয়ের অলংকরণের জন্য নিবের কলম ব্যবহার করেছেন। রবীন্দ্রনাথের যে বিশেষ ধরনের চিত্রশিল্প বিশ্বময় জনপ্রিয়, তার সূত্রপাত হয়েছিল পাণ্ডুলিপির পাতায় কাটাকুটি করতে করতেই। তাই কলম সেখানেও মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছে। আবার দেখা যায় কলম এক বিখ্যাত মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছে-এমন ঘটনাও ঘটেছে। স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব প্রখ্যাত রম্যরচনাকার ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় নিজের কলমের নিবে বিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন।