‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে লেখক ভারতবর্ষ ছাড়া বহির্বিশ্বে প্রাচীনকালে কলমের রূপ ও ব্যবহার সম্পর্কে যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তা নিজের ভাষায় লেখো। |
লেখক শ্রীপান্থ তাঁর ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে কলমের প্রাচীন ইতিহাস উদ্ঘাটন করেছেন। প্রথমে তিনি বাংলা তথা ভারতবর্ষে প্রাচীনকালে ব্যবহৃত কলমের রূপ ও লেখার নানা সরঞ্জাম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেছেন। পরে প্রসঙ্গক্রমে তিনি বহির্বিশ্বের বেশ কিছু দেশে ব্যবহৃত কলমের রূপ সম্পর্কে সাধারণ ধারণা দিয়েছেন।
নীল নদের তীরে গড়ে ওঠা প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় যে কলম ব্যবহার হত তা আমাদের দেশের কলমের মতো ছুঁচোলো নয়, অনেকটা ভোঁতা তুলির মতো এবং সেটা নলখাগড়া দিয়ে তৈরি হত। ফিনিসীয় সভ্যতায় জীবজন্তুর ছুঁচোলো হাড়কে কলম রূপে ব্যবহার করা হত। আবার, রোমে যে কলম ব্যবহার করা হত সেটি একটা ব্রোঞ্জের শলাকা মাত্র ‘যার পোশাকি নাম স্টাইলাস’। এই স্টাইলাস দিয়েই সিজার কাসকাকে আঘাত করেছিল। অতএব কলম সেদিন খুনির ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। ব্যতিক্রম শুধু চিনারা, তারা কলম নয় তুলি দিয়েই তাদের লেখা চালাত। সুতরাং, সারা বিশ্বেই কলম হিসেবে ছুঁচোলো কোনো শলাকা ব্যবহৃত হত-তা সে বাঁশের হোক, নলখাগড়া হোক, | পাখির পালক হোক কিংবা ধাতু বা হাড়ের হোক।