হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থ ছেলেবেলায় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় ‘হোম-টাস্ক’ দেখানোর জন্য যে ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন, তা নিজের ভাষায় লেখো। |
শ্রীপান্থ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে পঞ্চাশ-ষাট বছর আগে তাঁর বাল্যকালে গ্রাম বাংলার মানুষ লেখার জন্য যে উপায় বেছে নিয়েছিল, তার উল্লেখ করেছেন। এই আলোচনার প্রসঙ্গক্রমে লেখক তাঁর ছেলেবেলায় স্কুলের হোমটাস্কের প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন।
লেখকের মতো যারা অজ-পাড়াগাঁয় শৈশব কাটিয়েছেন তারা এখনকার মতো কলম ব্যবহার করতেন না। সরু বাঁশের কঞ্চি কেটে তার মুখ ছুঁচোলো করে কলম তৈরি করে নিতে হত। তারপর সেই কঞ্চির ছুঁচোলো মুখটা চিরে দেওয়া হত যাতে একসঙ্গে অনেকটা কালি গড়িয়ে না পড়ে। সে সময় লেখার জন্য কাগজের পরিবর্তে ব্যবহার করা হত কলাপাতা। সেগুলি কাগজের মতো মাপ করে কেটে নিয়ে তার উপর কঞ্চির কলমে ঘরে তৈরি কালি দিয়ে লিখে হোম-টাস্ক করতে হত তখনকার ছাত্রদের। ওই কলাপাতাগুলি বান্ডিল করে স্কুলে নিয়ে যেতে হত। শিক্ষক মহাশয় হোমটাস্ক দেখে বুঝে আড়াআড়িভাবে একটানে তা ছিঁড়ে পড়ুয়াদের ফেরত দিতেন।
স্কুল থেকে ফেরার পথে ছাত্রছাত্রীরা ওই হোমটাস্কের কলাপাতাগুলি কোনো পুকুরে ফেলে দিত কারণ তখন তারা বিশ্বাস করত ওই পাতা যদি কোনোভাবে গোরুতে খায় তবে তা ভয়ানক অমঙ্গল।