সহসম্বন্ধ কাকে বলে? সহগতির বৈশিষ্ট্য লেখো

সহসম্বন্ধ কাকে বলে? সহগতির বৈশিষ্ট্য লেখো

সহসম্বন্ধ

সহসম্বন্ধ হল কোনো দুই চলের মধ্যে এমন একটি সম্বন্ধ যার মাধ্যমে চল দুটির পারস্পরিক নির্ভরতার মাত্রা নির্ণয় করা যেতে পারে। অন্যভাবে বলা যায়, সহসম্বন্ধ হল কোনো ব্যক্তির দুটি সংলক্ষণ (traits) পারস্পরিকভাবে একটি অপরটির উপর কতটা নির্ভরশীল এবং কতটুকু মাত্রায় সম্বন্ধযুক্ত হয়, তা নির্ণয় করে। আবার এই সংলক্ষণগুলি পারস্পরিকভাবে কতটুকু মাত্রায় বৃদ্ধি বা হ্রাস পায় কিংবা একটির বৃদ্ধিতে অপরটি কতটা বৃদ্ধি পায় এবং অন্যটি কতটা হ্রাস পায়, তা বিশ্লেষণ করা যায়। অর্থাৎ বলা যায় সহসম্বন্ধ হল দুই চলের পারস্পরিক সম্বন্ধ। গিলফোর্ড বলেছেন- “যখন দুটি শ্রেণির ঘটনার মধ্যে একটি পরিমাণগত বা গুণগত সম্বন্ধ থাকে, তখন সেই সম্বন্ধ নির্ধারণ পরিমাপ ও সঠিকভাবে প্রকাশ করার উপযুক্ত পরিসংখ্যানমূলক সূত্র হল সহসম্বন্ধ।”

সহসম্বন্ধ পদ্ধতির উদাহরণ

সহসম্বন্ধ পদ্ধতির উদাহরণস্বরূপ বলা যায়-

(1) আয়ু এবং বাড়ির দেওয়ালের রঙের মধ্যে কি কোনো সম্পর্ক আছে?

(2) শিক্ষার হার বৃদ্ধির সঙ্গে বাল্য বিবাহের কি কোনো সম্পর্ক আছে? এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, পারস্পরিক সম্পর্কীয় গবেষণা যে দুটি ধারণার মধ্যে সম্পর্ক খুঁজছে তারা একটি পরিবর্তনশীল অন্য কারণ নির্ধারণ করার চেষ্টা করছে না।

সহগতির বৈশিষ্ট্য 

(1) বিভিন্ন পদ্ধতিতে প্রাপ্ত তথ্যের সম্পর্ক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

(2) রাশিবিজ্ঞানের পদ্ধতি ব্যবহার করে সহগতি নির্ণয় করা হয়।

(3) একাধিক রাশির মধ্যে ধনাত্মক বা ঋণাত্মক বা শূন্য সহগতি থাকতে পারে।

(4) দুটি চলের মধ্যে সম্পর্কের সহগতিকে সহগতির সহগাঙ্ক বলে, যাকে r বা p (রো) দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

(5) r বা p (রো)-এর মান 1 থেকে +1 পর্যন্ত হতে পারে (শূন্য সহ)।

(6) প্রাপ্ত তথ্য সঠিক হলে সহগতির মধ্যে যথার্থতা, নৈর্ব্যক্তিকতা, নির্ভরযোগ্যতা থাকবে।

(7) শিক্ষাবিজ্ঞান বা মনোবিজ্ঞানের গবেষণামূলক কাজে ব্যবহার করা হয়।

(8) পরিমাণগত গবেষণার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়।

(9)  সর্বজনীনতা রয়েছে (যদি শর্ত একই থাকে এবং তথ্য যথাযথ হয়)।

Leave a Comment