পুরুষার্থকে কেন ‘সাধ্য’ বলা হয়

পুরুষার্থকে কেন 'সাধ্য' বলা হয়
পুরুষার্থকে কেন ‘সাধ্য’ বলা হয়

সাধ্যরূপে পুরুষার্থ

ভারতীয় নীতিতত্ত্বে পুরুষার্থকে সাধ্যরূপে উল্লেখ করা হয়েছে। যা সাধনালব্ধ বিষয়রূপে গণ্য-তা-ই হল সাধ্য। পুরুষার্থরূপে যে কাম্যবস্তু-তা শুধু সাধনার দ্বারাই লাভ করা যায়। এগুলি তাই চরম ও পরমভাবে মূল্যবান। কারণ, এগুলিকে লাভ করলে মানুষের মন আনন্দানুভূতিতে পূর্ণ হয়। ভারতীয় চিন্তাধারায় মূল্যকে দু-ভাবে উপলব্ধি করা যায়-চরম মূল্য ও আপেক্ষিক মূল্য। যার নিজস্ব ও স্থায়ী মূল্য আছে-তাকে বলা হয় চরম মূল্য, যেমন ধর্ম ও মোক্ষ। অপরদিকে, যার কোনো স্থায়ী ও নিজস্ব মূল্য নেই-তাৎক্ষণিক মূল্য আছে, তাকেই বলা হয় আপেক্ষিক মূল্য, যেমন ধন বা অর্থ। ধন বা অর্থের নিজস্ব কোনো মূল্য নেই এবং সে কারণেই এগুলি আপেক্ষিক মূল্যরূপে গণ্য। পুরুষার্থের নিজস্ব মূল্য আছে বলেই সেগুলি স্বতঃভাবে মূল্যবান এবং এগুলির প্রাপ্তিতে আমাদের মন আনন্দে পূর্ণ হয়ে ওঠে। পুরুষার্থগুলি তাই চরম ও পরমভাবে মূল্যবান। বৈদিকযুগের ঋষিরা মানুষের এইরূপ সর্বোচ্চ কামনাকেই পুরষার্থের ধারণার মধ্য দিয়ে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। এগুলিকে কঠোর ও একনিষ্ঠ সাধনার দ্বারাই লাভ করতে হয়।

Leave a Comment