ক্রুসেড কী? ক্রুসেডের নামকরণ, সময়কাল ও অর্থ উল্লেখ করো – আজকের পর্বে ক্রুসেড কী? ক্রুসেডের নামকরণ, সময়কাল ও অর্থ উল্লেখ করা হল।
ক্রুসেড কী? ক্রুসেডের নামকরণ, সময়কাল ও অর্থ উল্লেখ করো
ক্রুসেড কী? ক্রুসেডের নামকরণ, সময়কাল ও অর্থ উল্লেখ করো |
ক্রুসেড
আরব ভূমিতে উৎপত্তি লাভের পরবর্তীকালে মধ্যযুগে ইসলাম ধর্মের ধারাবাহিক বিকাশ ঘটতে থাকে। আরব ভূমি থেকে ইসলাম ধর্ম গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। ইসলাম ধর্মের প্রসারের আগে পর্যন্ত খ্রিস্টধর্ম তেমন কোনো বাধার মুখোমুখি হয়নি। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের ফলে অবস্থা পালটে যায়। এক পর্যায়ে খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্ম মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এই সময়ে সিরিয়া, এশিয়া মাইনর ও স্পেনে ধর্মীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়। ইউরোপের ইতিহাসে এই ঘটনা ক্রুসেড নামে পরিচিত।
নামকরণ
অনেকে ক্রুসেডের নামকরণের বিরোধিতা করেছেন। এশিয়ার মুসলমান এবং ইউরোপের খ্রিস্টানদের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঘৃণা, বিদ্বেষ ও দ্বন্দ্বকলহের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ক্রুসেড বা এই ধর্মযুদ্ধে।
সময়কাল
প্রাচ্যের মুসলিম ধর্মাবলম্বী তুর্কি ও পশ্চিম ইউরোপীয় খ্রিস্টানদের মধ্যে খ্রিস্টীয় একাদশ শতক থেকে ত্রয়োদশ শতক পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ২০০ বছরব্যাপী যে যুদ্ধ হয় তা ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ নামে পরিচিত।
ক্রুসেডের অর্থ
খ্রিস্টধর্মের পবিত্র প্রতীক ক্রুশ থেকে ক্রুসেড নামের উৎপত্তি ঘটেছে। ক্রুসেড অর্থাৎ ধর্মযুদ্ধ। ব্যাপক অর্থে পবিত্র ভূমি জেরুজালেমের ওপর আধিপত্য বা কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা নিয়ে খ্রিস্টান ও প্রাচ্যের মুসলমানদের মধ্যে ভয়াবহ যে যুদ্ধ সংঘটিত হয় তাই ক্রুসেড। এসময় ইউরোপীয় খ্রিস্টানরা ধর্মীয় নেতা পোপের নির্দেশে বুকে ক্রস চিহ্ন নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিল এবং ক্রসকে যুদ্ধের পতাকা হিসেবে ব্যবহার করেছিল বলে এই যুদ্ধ ইতিহাসে ক্রুসেড নামে পরিচিত।
উপসংহার
উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, ক্রুসেডের জন্য যদিও একাদশ শতাব্দীর খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থা দায়ী ছিল, কিন্তু এর ক্ষেত্র তৈরি ছিল অনেক পূর্ব থেকে। তাই ক্রুসেডের জন্য এককভাবে কোনো কারণ দায়ী ছিল না।