৪ মে আন্দোলনের পিছনে বৃদ্ধিজীবীদের কী ভূমিকা ছিল? |
বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা
১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ মে-এর আন্দোলনের মাধ্যমে দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, প্রজাতন্ত্র প্রভৃতির শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়ে নবজাগরণের সূচনা করেন দেশের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়।
কাং ইউ ওয়ে-র ভূমিকা: চিনা বুদ্ধিজীবী কাং ইউ ওয়ে-এর নেতৃত্বে চিনের যুবসমাজ জেগে ওঠে। তিনি তরুণ চিনা আন্দোলন গড়ে তোলেন। চিনে সংস্কারের দাবিতে ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দের ২ মে ১৩০০ জন বুদ্ধিজীবীর স্বাক্ষর সংবলিত একটি আবেদনপত্র সম্রাটের নিকট পেশ করা হয়। চিনের নাবালক সম্রাট কোয়াং সু এই সংস্কারের দাবি মেনে নিয়ে এক কর্মসূচি গ্রহণ করেন। শতদিবস ব্যাপী এই সংস্কারকার্য একশত দিবসের সংস্কার নামে পরিচিত।
কাং ইউ ওয়ে-র ভূমিকা: চিনা বুদ্ধিজীবী কাং ইউ ওয়ে-এর নেতৃত্বে চিনের যুবসমাজ জেগে ওঠে। তিনি তরুণ চিনা আন্দোলন গড়ে তোলেন। চিনে সংস্কারের দাবিতে ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দের ২ মে ১৩০০ জন বুদ্ধিজীবীর স্বাক্ষর সংবলিত একটি আবেদনপত্র সম্রাটের নিকট পেশ করা হয়। চিনের নাবালক সম্রাট কোয়াং সু এই সংস্কারের দাবি মেনে নিয়ে এক কর্মসূচি গ্রহণ করেন। শতদিবস ব্যাপী এই সংস্কারকার্য একশত দিবসের সংস্কার নামে পরিচিত।
সংগঠন প্রতিষ্ঠা: বুদ্ধিজীবীদের উদ্যোগে চিনের বিভিন্ন জায়গায় অনেকগুলি সংগঠন গড়ে ওঠে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মাও জে-দং-এর নতুন গণ-অধ্যয়ন সমিতি এবং চৌ এন লাই-এর জাগরণ সমিতি। পরবর্তীক্ষেত্রে বুদ্ধিজীবীরা দক্ষিণপন্থী ও বামপন্থী – দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।
রাজনৈতিক চেতনার জনক: চিনা বুদ্ধিজীবীরা জাতীয়তাবাদ ও রাজনৈতিক চেতনার কাণ্ডারি ছিলেন। তারা মৌলিক পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন এক প্রগতিশীল চিনের জন্ম দিতেই ৪ মে আন্দোলনে শামিল হন।
বণিক, শিল্পপতি ও শ্রমিক শ্রেণি সংযুক্তকরণ: মে ফোর্থ আন্দোলন চলাকালে চিনা বুদ্ধিজীবীগণ চিনা বণিক, শিল্পপতি ও শ্রমিক শ্রেণিকে চিনের পুরোনো ব্যাবসা ভেঙে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কারণে বেরিয়ে আসতে উৎসাহিত করেছিল।
প্রবাসী চিনা ছাত্রদর স্বদেশে পরিবর্তন : বহু চিনা ছাত্র যারা বিদেশে ছিল তারা স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে শুধুমাত্র চিনা বুদ্ধিজীবীদের আহ্বানে। ছাত্ররা জাপ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আন্দোলন গড়ে তোলে এবং তারা ৪ মে আন্দোলনের মাধ্যমে কনফুসীয়বাদের উপর আঘাত হেনেছিল।