১৯৫০-এর দশকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কমিউনিস্ট চিনের প্রভাব নিরূপণ করো

১৯৫০-এর দশকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কমিউনিস্ট চিনের প্রভাব নিরূপণ করো

১৯৫০-এর দশকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কমিউনিস্ট চিনের প্রভাব নিরূপণ করো
১৯৫০-এর দশকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কমিউনিস্ট চিনের প্রভাব নিরূপণ করো।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কমিউনিস্ট চিনের প্রভাব

গণপ্রজাতান্ত্রিক চিনের উত্থান কেবলমাত্র চিনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ক্ষেত্রেই নয়- আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রেও ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

সমাজতান্ত্রিক শিবিরের শক্তিবৃদ্ধি

গণপ্রজাতন্ত্রী চিন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরের দিনই সর্বপ্রথম সোভিয়েত রাষ্ট্রপ্রধান স্ট্যালিন চিনকে গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন। চিয়াং কাই-শেক পরোক্ষভাবে মার্কিন প্রভাবিত ছিলেন, কিন্তু পরবর্তীকালে কমিউনিস্ট চিন আমেরিকার সাহায্য ছাড়াই বিশ্বরাজনীতিতে নিজ প্রভাববিস্তারে সক্ষম হয়ে উঠেছিল।

সাম্যবাদী আন্দোলনে অংশগ্রহণ

সাম্যবাদী আন্দোলনকে জোরদার করার লক্ষ্যে রাশিয়া নবগঠিত এই সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রটিকে শিল্প, সামরিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে নানাভাবে সাহায্য করে।

চিন-সোভিয়েত সম্পর্ক ও বিরোধ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্যবাদ- বিরোধী বেষ্টনী নীতির মোকাবিলার জন্য চিন-সোভিয়েত সম্পর্ক মজবুত হয়। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ফেব্রুয়ারি চিন-সোভিয়েত পারস্পরিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে চিন-সোভিয়েত মৈত্রী ছিন্ন হয়ে যায়।

চিন-মার্কিন সম্পর্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের উত্থানের বিষয়টিকে সমগ্র বিশ্বে সাম্যবাদের প্রসার হিসেবে দেখে ও সাম্যবাদের বিরোধিতা করতে শুরু করে। এমনকি মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব ডিন রাস্ক বলপ্রয়োগের মাধ্যমে চিনের সাম্যবাদী সরকারকে উৎখাতের হুমকি দেয়। তবে ১৯৭১ ও ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন বিদেশসচিব হেনরি কিসিংগার ও রাষ্ট্রপতি নিকসন চিন সফরে এলে চিন-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতি হয়।

এশীয় রাজনীতিতে অবস্থান

কমিউনিস্ট ভাবধারা রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপ থেকে ক্রমে এশিয়ার রাজনীতিতে প্রভাববিস্তার করে। এশিয়ায় চিন মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যার প্রমাণ ছিল কোরিয়া ও ইন্দোচিনের ঘটনা।

তৃতীয় বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক

তৃতীয় বিশ্বের (ভারত, পাকিস্তান, ব্রহ্মদেশ, শ্রীলঙ্কা ইত্যাদি) অনেক দেশ নতুন চিনকে স্বীকৃতি দেয় এবং চিনের সঙ্গে মৈত্রীর সম্পর্ক গড়ে তোলে। চিনা প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই ভারতের পঞ্চশীল নীতি এবং বান্দুং সম্মেলনে গৃহীত দশশীল নীতি সমর্থন করেন। ফলে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চিনের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুন – বিংশ শতকে উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনের কারণ গুলি আলোচনা করো

Leave a Comment