হিটলারের বিদেশ নীতি সম্পর্কে লেখো – আজকের পর্বে হিটলারের বিদেশ নীতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
হিটলারের বিদেশ নীতি সম্পর্কে লেখো
হিটলারের বিদেশ নীতি সম্পর্কে লেখো। |
হিটলারের বিদেশ নীতি সম্পর্কে লেখো
ভূমিকা
জার্মানির চ্যান্সেলার অ্যাডলফ হিটলার চেয়েছিলেন বিশ্বের দরবারে শক্তিশালী ও মর্যাদাবান রাষ্ট্ররূপে জার্মানির প্রতিষ্ঠা ঘটাতে এবং ভার্সাই সন্ধির অপমানের প্রতিশোধ নিতে। ঐতিহাসিক অ্যালান বুলকের মতে, হিটলারের পররাষ্ট্রনীতির প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল জার্মানিকে ইউরোপের প্রধান শক্তিতে পরিণত করা।
হিটলারের পররাষ্ট্রনীতি
① অতীত গৌরব পুনরুদ্ধার: হিটলার চেয়েছিলেন বিশুদ্ধ আর্য রক্তের একমাত্র উত্তরাধিকারী হিসেবে জার্মান জাতির অতীত গৌরব পুনরুদ্ধার করে সারা বিশ্বে তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করতে।
② চুক্তি বাতিলঃ হিটলারের বিদেশ নীতির অন্যতম লক্ষ্য ছিল অপমানজনক ভার্সাই সন্ধি ও সেন্ট জার্মেইনের সন্ধি বাতিল করা।
③ তৃতীয় রাইখ প্রতিষ্ঠা: হিটলার পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে বসবাসকারী জার্মানদের নিয়ে তৃতীয় রাইখ বা বৃহত্তর জার্মান সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। এই কারণে তিনি সাম্রাজ্যবাদী নীতি গ্রহণ করে একের পর এক জায়গা দখল করতে থাকেন।
④ কমিউনিস্ট বিরোধিতা: হিটলার কমিউনিস্টদের প্রধান শত্রু বলে মনে করতেন। সাম্যবাদকে প্রতিহত করার জন্য তিনি যে-কোনো মূল্য দিতে রাজি ছিলেন। তাই তিনি রাশিয়ার দিকে জার্মানির সম্প্রসারণ ঘটাতে শুরু করেন।
উপসংহার
হিটলারের বিদেশ নীতির ফলাফল ছিল অত্যন্ত ক্ষতিকর। সাম্রাজ্যবাদী বিদেশ নীতির পরিণামস্বরূপ শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যুদ্ধ প্রসঙ্গে হিটলারের মত ছিল, শাশ্বত যুদ্ধেই মানুষ মহান হয়েছে। শাশ্বত শান্তিতেই তার বিনাশ ঘটবে (Mankind has grown great in war. It will decay in eternal peace.) ।